গারোদের বিশ্বাস, ‘মিসি সালজং’ বা শস্য দেবতার ওপর নির্ভর করে ফসলের ভালো ফলন। এই শস্য দেবতাকে ধন্যবাদ জানিয়ে ও নতুন ফসল খাওয়ার অনুমতির পাশাপাশি ‘পরিবারে ভালবাসা, ম-লীর আনন্দ, সব পরিবারের মঙ্গল কামনা করে’ এ বছরে শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে গারোরা পালন করেছেন ওয়ানগালা (নবান্ন) উৎসব।
রোববার সকালে উপজেলার মরিয়মনগর ক্রিশ্চিয়ান মিশনে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন, ময়মনসিংহ নটরডেম কলেজের অধ্যক্ষ ফাদার জর্জ কমল রোজারিও সিএসসি। উৎসবে ক্রুশচত্বরে বাণী পাঠ (মান্দিতে), খামালকে খুথুব ও থক্কা প্রদান, জনগণকে থক্ক্ দেয়া
পবিত্র খ্রীষ্টযাগ, দান সংগ্রহ, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নকগাথা অনুষ্ঠান ও প্রার্থনা করা হয়। উৎসবের বিভিন্ন পর্ব পরিচালনা করেন, রুনু নকরেক, মিসেস লবদিনি চিসিম, মার্গারেট চিরান, মি. ক্রেনিস ¤্রং প্রমূখ। গারো সম্প্রদায়ের কয়েকশত মানুষ দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে বিশেষ প্রার্থনায় অংশ নেন। প্রার্থনা পরিচালনা করেন, ফাদার জর্জ কমল রোজারিও সিএসসি।
এ ধর্মপল্লীর ফাদার সুবল কুজুর সিএসসি’র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মরিয়মনগর প্যারিস কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অঞ্জন আরেং, উপজেলা ট্রাইবাল ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশনের সাবেক চেয়ারম্যান আলপন্স চিরান, সিস্টার ভিক্টোরিয়া প্রমূখ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গারোদের নিজস্ব ভাষায় গান ও নৃত্য পরিবেশিত হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৮৫ সাল থেকে মরিয়মনগর ক্রিশ্চিয়ান মিশনের উদ্যোগে এখানে ওয়ানগালা উৎসব পালন করা হচ্ছে। উৎসব উপলক্ষে ধর্মপল্লীর পাশে গারোদের ঐতিহ্যবাহী পোষাক ও শিশুদের নানা রকমের খেলনা নিয়ে মেলা বসে।