জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০২৩ এর ময়মনসিংহ বিভাগীয় পর্যায়ে ১৪ ক্যাটাগরিতে পাচঁটিতেই শ্রেষ্ঠ হয়েছে শেরপুর।
প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় সোমবার দুপুরে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে বিভাগের আওতায় ৪ জেলার শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে বিভাগীয় পর্যায়ে ১৪টি ক্যাটাগরির মধ্যে ৫টিতেই শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে শেরপুর।
বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন শ্রীবরদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডিএম শহীদুল ইসলাম। শ্রেষ্ঠ ইন্সট্রাক্টর শেরপুর পিটিআইয়ের মো. আব্দুর রাজ্জাক, শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক (পুরুষ) বাজিতখিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মো. শফিউল আলম, শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক (মহিলা) জঙ্গলখিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমা রাণী ঘোষ ও শ্রেষ্ঠ পিটিআই নির্বাচিত হয়েছে শেরপুর পিটিআই।
জানা যায়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান রাখা, প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন ও শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে অবদান রাখা, শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধকল্পে কাজ করা, শিক্ষার্থীদের সঠিক সময়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিত করা, সঠিকভাবে পাঠদান করা, সঠিক সময়ে বিদ্যালয়ে হাজিরা দেয়া, বিদ্যালয় পরিচালনা করাসহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিয়ে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠদের নির্বাচিত করে তাদের প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০২৩ দেওয়া হচ্ছে।
শেরপুরের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল্লাহ জানান, বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ হওয়ার আগে তারা স্ব-স্ব উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে স্ব-স্ব অবস্থান থেকে শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হয়েছিলেন। তবে বিভাগীয় পর্যায়ে ১৪টি ক্যাটাগরির মধ্যে ৫টিতেই শেরপুর জেলা শ্রেষ্ঠ হয়েছে।
শেরপুর পিটিআইয়ের সুপারিটেনডেন্ট লিপিকা মজুমদার বলেন, শেরপুর পিটিআই নান্দনিক ও মনোরম পরিবেশে অবস্থিত। এখানকার অভিজ্ঞ ও দক্ষ প্রশিক্ষকদের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে গত তিন বছর থেকেই সেরা অবস্থানে রয়েছে আমাদের পিটিআই।
শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক শফিউল আলম বলেন, আমার চেষ্টা অব্যহত থাকবে। প্রাথমিক শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাবো। এ সাফল্যে আমি আরো অনুপ্রাণিত হবো।
এদিকে বিভাগীয় পর্যায়ে ৫ ক্যাটাগরিত শ্রেষ্ঠ হওয়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি অভিনন্দন জানিয়েছেন শেরপুরের জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খায়রুম।