আজ- বুধবার, ৩১শে মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
শেরপুর টাইমস
Trulli
  • প্রচ্ছদ
  • জেলার খবর
    • শেরপুর সদর
    • নকলা
    • নালিতাবাড়ী
    • ঝিনাইগাতী
    • শ্রীবরদী
  • জাতীয় খবর
  • উন্নয়নে শেরপুর
  • খেলার খবর
  • বিনোদন
  • তথ্য ও প্রযুক্তি
  • পর্যটন
  • উদ্যোক্তা
  • ফিচার
  • অন্যান্য
    • অন্য গণমাধ্যমের খবর
    • আন্দোলন সংগ্রাম
    • ইতিহাস ঐতিহ্য
    • গণমাধ্যম
    • পাঠকের কলাম
    • শিক্ষাঙ্গণ
    • শুক্রবারের কলাম
    • সাহিত্য
  • সম্পাদকীয়
No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • জেলার খবর
    • শেরপুর সদর
    • নকলা
    • নালিতাবাড়ী
    • ঝিনাইগাতী
    • শ্রীবরদী
  • জাতীয় খবর
  • উন্নয়নে শেরপুর
  • খেলার খবর
  • বিনোদন
  • তথ্য ও প্রযুক্তি
  • পর্যটন
  • উদ্যোক্তা
  • ফিচার
  • অন্যান্য
    • অন্য গণমাধ্যমের খবর
    • আন্দোলন সংগ্রাম
    • ইতিহাস ঐতিহ্য
    • গণমাধ্যম
    • পাঠকের কলাম
    • শিক্ষাঙ্গণ
    • শুক্রবারের কলাম
    • সাহিত্য
  • সম্পাদকীয়
শেরপুর টাইমস
No Result
View All Result
প্রচ্ছদ শুক্রবারের কলাম

মফস্বল সাংবাদিকতা বনাম রাজধানীর সাংবাদিকতা

টাইমস ডেস্ক প্রকাশ করেছেন- টাইমস ডেস্ক
২২ আগস্ট, ২০১৯
বিভাগ- শুক্রবারের কলাম
অ- অ+
8
শেয়ার
270
দেখা হয়েছে
Share on FacebookShare on Twitter
প্রিন্ট করুন

পশ্চিমা সাংবাদিকতায় যাদেরকে স্ট্রিংগার বলে ডাকা হয়, আমাদের দেশে তারাই হলো সংবাদদাতা। এরা সংবাদপত্রের পূর্ণ কর্মচারী তো নন ই, বেতনভুক্তও নন। কিন্তু এরা নিদৃষ্ট সংবাদপত্র বা টিভি মিডিয়ার প্রতিনিধিত্ব করে থাকেন।

কেন্দ্রের সাথে প্রান্তের সেতু বন্ধন গড়বেন তৃণমূলের সাংবাদিকরা। লোকাল কনটেন্টগুলো নিজস্ব সংবাদমূল্যের জোড়ে সংবাদপত্রের পৃষ্ঠা আর টেলিভিশনের স্পেস জুড়ে থাকবে। স্থানীয় দূর্নীতি, মানুষের শোক দু:খগাঁথা সাফল্য আর সীমাবদ্ধতার কথাগুলো প্রচার হবে নাগরিক নানান ঘটনা আর সরকারি নানা উদ্যেগ আর উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর সাথে সাথে। গোটা গণমাধ্যম শিল্প পুরো দেশের কন্ঠস্বর হয়ে উঠবে। কেবল প্রধান প্রধান শহর আর শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেনীর বাইরে যারা খুব প্রান্তিক এলাকায় থাকেন, তারা পত্রিকার নিয়মিত পাঠক হবেন। সংবাদের বৈচিত্র, বিষয়ের বিভিন্নতা, সংবাদ তৈরি ও প্রকাশের ক্ষেত্রে কেন্দ্র-প্রান্তের বিভেদহীন একটা ভারসাম্যপূর্ণ পরিবেশ তৈরি হবে, এমনই হওয়ার কথা ছিলো আমাদের গণমাধ্যমের চেহারা।
কিন্তু দেশের বিদ্যমান মফস্বল সাংবাদিকতা গ্রামীন সংবাদ সরবরাহের ক্ষেত্রে সেতুর কাজটি করতে পারছে না বা তাকে দিয়ে কাজটি করানো হচ্ছে না । উপরন্ত দেশের বেশিরভাগক্ষেত্রে কেন্দ্রনির্ভর সাংবাদিকতার যে বৃত্ত তার সাথে প্রত্যহিক সমান্তরাল যে দূরুত্ব টিকে আছে, সেটা স্থির থাকার পাশাপাশি বাড়ছে নানামুখি সমস্যারও।

বাংলাদেশের মফস্বল সাংবাদিকতার বিভিন্নমূখী প্রবনতা ও বৈশিষ্টসমূহ বোঝাসহ এর সাথে সম্পর্কিত কেন্দ্রসংশ্লিষ্ঠ ফ্যাক্টরসমূহ চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে বর্তমান প্রবন্ধে দেশের প্রান্তে কর্মরত মফস্বল সাংবাদিকদের অভিমত ও অনূভুতি সমূহ উপস্থাপনের পাশাপাশি কেন্দ্রে কর্মরত সাংবাদিকের ভাষ্য উপস্থাপন করা হবে। এর মাধ্যমে মফস্বলে কর্মরত সাংবাদিকদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা সমূহ সম্পর্কে পাঠকের একটি স্পষ্ট ধারনা তৈরির পাশপাশি বাংলাদেশের মফস্বল সাংবাদিকতা সম্পর্কিত একটি রেখাচিত্র আঁকার সম্ভাবনা তৈরি হবে।

Advertisements
নোয়াখালির সাংবাদিক ও কলাম লেখক গোলাম মহিউদ্দিন নসু তার মফস্বল সাংবাদিকতা শীর্ষক প্রবন্ধে মফস্বল সাংবাদিকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, পয়সা উপার্জনের বিভিন্নমুখি উপায়, মফস্বল সাংবাদিকতার সাম্প্রতিকপ্রবণতাসমূহ সম্পর্কে আলোকপাত করে বলেন-

৫ম/৮ম শ্রেনী পাশের সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরি নিয়ে যে লোকটি পত্রিকা বিলি করতো অথবা বিজ্ঞাপন খুজঁতো, তার পকেটে উপজেলা, জেলা বা বিশেষ প্রতিনিধির কার্ড । ইংরেজীতে নিজের ঠিকানাটা ভাল ভাবে লিখতে যার কষ্ট হবে, সেও ঢাকার ইংরেজী কাগজের প্রতিনিধির পরিচয় দিচ্ছে। পত্রিকা বিলি কারক; বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি; সংবাদদাতা; প্রতিনিধি; প্রতিবেদক সবই ঐ একজন মফস্বল সাংবাদিক। এক্ষেত্রে পত্রিকার কোন কোন সম্পাদকরা এ সূযোগে কার্ড ব্যবসা করেন। আবার মান মূল্যায়ন না করে ফ্যক্টরী মালিকের মতো অনেকটা বিনে পয়সায় খাটিয়ে নেয়।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম এর অতিথি লেখক আদিত্য আরাফাত তার মফস্বল সাংবাদিকতা ও কয়েকটি দীর্ঘশ্বাস শীর্ষক কলামে একটা বাস্তব ঘটনার অবতারনা করেন। তার নিজের ভাষায়-

২০০৯ সালের জুন বা জুলাই। আমি তখন একটা দৈনিকে কাজ করি। মোবাইল সাইলেন্ট করে গ্রাফিকস রুমে বসে কাজ করছি। একটু পর মোবাইল হাতে নিয়ে দেখি ঐ পত্রিকার নরসিংদী প্রতিনিধির কয়েকটি মিসড কল উঠে আছে। কল দিয়ে আমি বলি-‘ভাই কি হইছে?’

নরসিংদী প্রতিনিধি বলেন, আমারেতো দারোয়ান দাঁড় কইরা রাখছে ২০ মিনিট ধইরা। ভিতরে ঢুকতে দিতাছে না। দারোয়ানকে বললাম তিন মাস আগে জয়েন করেছি এখনও পত্রিকার আইডি কার্ড পাই নাই। এদিকে মফস্বল ডেস্কের কেউ ফোন ধরতাছে না। কি নাজেহাল অবস্থা রে ভাই।

পরে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে চেক-টেক করে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হলো এ সাংবাদিককে। আফসোস করে বললেন, ‘রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে রিপোর্ট করি অথচ নিজের হেড অফিসে ঢুকতেই এই অবস্থা।’ ভিতরে ঢুকেও একপ্রকার অপমান বোধ করলেন এ মফস্বল সাংবাদিক। মফস্বল ডেস্কের অনেকেই তার সঙ্গে ভালো করে কথাও বলেননি। তিন/চারবার কিছু জিজ্ঞেস করলে একবার মাথা নেড়ে হ্যাঁ বা না সূচক জবাব দেয়। এ প্রতিনিধি ভেবেছিলেন সম্পাদকের সঙ্গে কথাবার্তা বলে যাবেন। সাহস করে সম্পাদকের রুমের দিকে যাচ্ছিলেনও। হঠাৎ সম্পাদকের পিএ বলছেন-‘এই এই কই যান আপনি? এডিটর লাঞ্চ করসে মাত্র, এখন ঘুমাইতেসে, এক ঘণ্টা রুমে যাওয়া যাবে না।’ এক ঘণ্টা বসে ছিলেন এ সাংবাদিক। সম্পাদকের ঘুম ভাঙলে হেড অফিসের সাংবাদিকদের যাতায়াত। ঠায় দাঁড়িয়ে আছেন নরসিংদী থেকে আসা এ সাংবাদিক। একপর্যায়ে সম্পাদক রুম থেকে বের হলে সাহস করে এ প্রতিনিধি সম্পাদকের উদ্দেশ্য বললেন, ‘আমি নরসিংদী প্রতিনিধি। অনেকক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে আছি আপনার জন্য।’ ব্যস্ত সম্পাদক হাঁটতে হাঁটতে তাকে বললেন, ‘পরে পরে, এখন সময় নেই। পিক আওয়ার চলছে দেখছো না।’ পত্রিকাটির সম্পাদক পাত্তাই দিলেন না তাকে।

হেড অফিসের লোকজনের ভাবখানা এমন যে তারা মনে করে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধিরা পত্রিকার কোনো সাংবাদিকই নয়। মাঝে মাঝে মফস্বল সাংবাদিকদের এরকম হেনস্থা দেখে খারাপই লাগে। করপোরেট মিডিয়ার যুগেও ঢাকা আর মফস্বল সাংবাদিকদের সুযোগ সুবিধার দিক দিয়ে পার্থক্য অনেক। একজন হেড অফিসের সাংবাদিক যত সুযোগ সুবিধা পান তার সিকিভাগও পান না মফস্বল সাংবাদিকরা। ওয়েজবোর্ড পাওয়াতো দূরের কথা। মফস্বল সাংবাদিকতা নিয়ে মিডিয়া মোগলরা অনেক কথাই বলে থাকেন। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। প্রতিবছর বিভিন্ন দৈনিক জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি সম্মেলন করে মফস্বল সাংবাদিকদের নানারকম প্রতিশ্রুতি দেন সম্পাদক ও মালিকপক্ষ। কিন্তু প্রতিশ্রুতি প্রতিশ্রুতিই থেকে যায়। তা পূরণ হয় না।
মফস্বল সাংবাদিক আব্দুল হাদী সাংবাদিকতা নেশা না পেশা: মফস্বল সাংবাদিকতা বহুরুপ শীর্ষক প্রবন্ধে মফস্বল সাংবাদিকতায় কয়েক ধরনের সাংবাদিকের সন্ধান আমাদের জানান। তার মতে মফস্বলের সাংবাদিকরা সাধারনত সর্বদা নিজেদের সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত করে আর্থিক ফায়াদা লোটার ক্ষেত্রে সর্বদা তৎপর থাকেন। সারা দিন পুলিশ-থানা করে টাকা কামানোর চেষ্টায় রত থাকেন। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃত্ত্বের পদলেহী হয়ে সংবাদ তৈরি, নিজস্ব সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে স্থানীয় পত্রিকা প্রকাশ করেন এবং অনেক ক্ষেত্রে স্থানীয় ব্যবসায়ীদেরকে বিজ্ঞাপন দেয়ার জন্য বাধ্য করেন।

তার মতে, এসব পত্রিকার জন্য বেপোরোয়া হয়ে বিজ্ঞাপন খুজতে হয । সংবাদ আহরনের চাইতে টাকার পিছু ছুটতে হয় বেশি সময় । এরকম সাংবাদিকদের যন্ত্রনায পড়তে হয মাছ ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে পুলিশের ট্রাফিক পর্যন্ত। বেচারা মাছ বিক্রেতা বাজারে নিয়ে এসেছে পিরানহা মাছ কিন্তু সে জানেনা এটা বিক্রি করা অবৈধ। দেখলেন একজন সাংবাদিক । এইতো সেরেছে। কাছে গিয়ে বললেন এই বেটা এটা বিক্রি নিষিদ্ধ। তোকে আমি পুলিশে ধরিয়ে দেবো। বেচারা কি করবে বাধ্য হয়ে সাংবাদিক সাহেবকে হাতে টাকা ধরিয়ে দিলো পাঁচশো। তিনি টাকাটা নিয়ে চলে আসলেন এর পর মাছটি বিক্রি বৈধ হলো তার।
ট্রাফিক রাস্তায় দাড়িয়ে ডিউটি দেন রাস্তায়। কেউ কি অবৈধ গাড়ি চালাচ্ছে কিংবা চুরি করে কোন গাড়ি নিয়ে যাচ্ছে কিনা ,গাড়ির কগজ পত্র ঠিক আছে কিনা ,এসব দেখতে গিয়ে তিনিও ড্রাইভারের কাছ থেকে ঘোষ নেন । এটা দেখে ফেলে সাংবাদিক। আর দেখলেই বিপদ। এক হাজার নিলে সাংবাদিককে দিতে হয় ৫০০ টাকা।

মফস্বলে সাংবাদিকতা করতে যে সব মানুষের সাথে সম্পর্ক গড়ার কথা সেরকম মানুষের সাথে সম্পর্ক না করে সমাজের ধনাঢ্য ব্যক্তি যারা তাদের পিছু ছুটে চলাই হলো মফস্বল সাংবাদিকের কাজ। এম পি মন্ত্রীর পিছু ছুটা ,তার সাথে পরিচিত হওয়া ভালো ভালো খাবার খাওয়া, খামের ভেতর টাকা নেওয়া এসব নিয়েই ব্যস্ত সবাই । বেশির ভাগ সাংবাদিক নেতাদের পকেটে ঝুলে থাকে। মফস্বল সাংবাদিকতার মূল লক্ষ্যে হচ্ছে নিজের মটর সাইকেলের পেছনে সাংবাদিক লেখা, থানা ওসির সাথে কথা বলা, চেয়ারম্যান মেম্বারের সাথে আলাপচারিতা।

অন্যদিকে তিনি খুব করুণ শব্দবন্ধে সৎ সাংবাদিকের অবস্থান ব্যখ্যা করেন এইভাবে- অনেকক্ষেত্রে অফিসে বসে সম্পাদক, বার্তা সম্পাদক স্টাফরা মনে করেন স্থানীয় প্রতিনিধি মানুষের কাছ থেকে ভুড়ি ভুড়ি টাকা নিচ্ছে । কিন্তু সততার সাথে যারা সাংবাদিকতা করে তাদের জুতার উপরিভাগ ভালো থাকলেও নিচের দিকে মাটি উঠে যায় ।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম’র সংবাদকর্মী মুহম্মদ নাজিম উদ্দিন তার মফস্বল সাংবাদিকতা: ক্ষুধার অনলে পুড়ছে নীতি-নৈতিকতা শীর্ষক প্রবন্ধে উল্লেখ করেন-

মফস্বল সাংবাদিকতার পথটাকে নষ্ট করেছেন জেলার অনেক সম্পাদক। তারা তাদের পত্রিকায় যোগ্যতাবিহীন লোক নিয়োগ করে থাকেন। ফলে যে ছেলে সাংবাদিকতার ‘স’ বুঝে না সে কার্ড নিয়ে যা ইচ্ছা তা করে বেড়ায়। যেখানে সাংবাদিকদের দেখলে সমাজের কীটরা ভীত হয়ে থাকার কথা সেখানে আমাদের অনেক সাংবাদিককে বিভিন্ন মামলার আসামী ও নেশা দ্রব্য বিক্রেতাদের সাথে বন্ধুত্ব গড়তে দেখা যায়।

তিনি পাঠকদেরকে আরও জানান –

আমাদের পত্রিকাওয়ালারা কী অলিখিতভাবে প্রতিনিধি-সংবাদদাতার অনুমতি দিয়ে অপসাংবাদিকতার লাইসেন্স করে দিয়েছে তাদের? কোনো কাজ নেই, লেখালেখি নেই, অন্যের লেখা ধার করে চলে। নিধিরাম সর্দার (ব্যস্ত সাংবাদিক) সাংবাদিকদের ই-বা দোষ কী। সংবাদ সংগ্রহ ও পাঠানোর যে খরচ পড়ে, তা তো পত্রিকাওয়ালারা দেন না। কিছু কিছু পত্রিকা সম্মানীর নামে অসম্মানী ভাতা দিলেও তা একেবারে যৎসামান্য। তা দিয়ে সংসার চলার ভাবনা কল্পনাতীত।

প্রসঙ্গ: কোরবানী ঈদ ও মফস্বল সাংবাদিকতা শীর্ষক প্রবন্ধে তিনি আরো জানান-

কোন পত্র-পত্রিকায় গ্রামীণ সাংবাদিকদের এ করুণ কাহিনির চিত্র কখনো উঠে আসেনি। ছাপাবে বলেও মনে হয় না। কারণ তারা অন্যায়-অনাচার ও বৈষম্যহীন সমাজ নির্মাণের কথা বলে। ফলোআপ করে। তারা নিজের কর্মীদের উপর কত নির্যাতন করেন, সেই কথা কেন জানবে জনগণ-পাঠক-দর্শকশ্রোতা। মিডিয়া এখন শিল্প মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত হলেও কর্মীদের জীবন যেন নগণ্য নাগরিকেরা মর্যাদায় পরিগণিত। উদাহরণ টানলে দেখা যায়, গার্মেন্টস শিল্পে বেতন-বোনাস ও ন্যায্য হিস্যা আদায়ে সংগ্রাম-লড়াই হয়। মিডিয়া আর পত্রিকাওয়ালারা তা পুঁজি করে পত্রিকার কাটতি বাড়ায়। সংবাদ-মিডিয়াকর্মীদের আন্দোলন-সংগ্রামের কথা তেমন কী পাত্তা পায়। সাংবাদিকেরা যে কাগজের জন্য প্রাণ হারায়, সেই পত্রিকায়…। কিন্তু আমাদের দেশের মালিকপক্ষ ও ডাকসাইটের সাংবাদিক নেতারা নিজেদের অধিকার-স্বার্থ নিয়ে নিজেরা অনঢ়। সেখানে পিছিয়ে থাকা-অবহেলিত গ্রামবাংলার সাংবাদিকদের খোঁজ নেওয়ার সময় কী তাঁদের আছে।

সম্পর্কটা স্পষ্টতই শোষনের। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মালিকপক্ষ বেতন মর্যাদা সরবরাহ করে না, আর মফস্বলে কর্মরত সাংবাদিকরা পেশাদারিত্ব, নিজ কর্তব্যকে জলাঞ্জলি দিয়ে চাঁদাবাজী করছেন। অন্যদিকে কেন্দ্রমূখী সাংবাদিকতার চেহারা, আদর্শিক অবস্থান ও প্রান্তের সাথে সম্পর্কের রাজনীতি-অর্থনীতির কারনে মফস্বলের সাংবাদিকদের দক্ষতা বাড়ছে না। পর্যাপ্ত প্রশিক্ষন গ্রহনের সুযোগ বাড়ছে না। সংবাদ প্রতিষ্ঠানসমূহ লোকাল কনটেন্টসমূহকে গুরুত্ব না দেয়ার কারনে মফস্বল সাংবাদিকদের মধ্যে পেশার প্রতি কমিটমেন্ট, নিজেদেরকে গুরুত্বপূর্ন মনে না করায় ঘটি বাটি আলু পটল বিক্রি করার মতো সাংবাদিকতাও হয়ে উঠছে সংবাদপণ্য বিক্রি, সেটাকে পুঁজি করে অর্থনৈতিক ফায়দা লোটার ব্যবসায়িক ফাঁদ। যার মাঝে আটকে যাচ্ছে সাধারন মানুষের মৌলিক মানবাধিকার, স্থানীয় রাজনৈতিক স্বচ্ছতার প্রশ্ন, প্রতিদিনকার লড়াই, সংগ্রাম আর প্রতারিত হওয়ার ঘটনাগুলো।

লেখক – নাসিমূল আহসান,
শিক্ষা উদ্যোক্তা ও সহকারী প্রশিক্ষক,
প্রেস ইন্সটিটিউট বাংলাদেশ।

 

শেরপুর টাইমস ডট কম-এর মতামত পাতায় প্রকাশিত লেখার দায়ভার লেখকের নিজের। এর দায় শেরপুর টাইমস কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করবে না। সমসাময়িক বিষয় নিয়ে শেরপুর টাইমসের মতামত পাতায় আপনিও আপনার মতামত জানাতে পারেন sherpurtimesdesk@gmail.com এই মেইলে।

Share3Tweet2
আগের খবর

হারিয়ে গেছে প্রেমের রঙিন চিঠি

পরবর্তী খবর

শেরপুরে আউশ ধান কাটা-মাড়াই শুরু

এই রকম আরো খবর

বিশ্ব জয়ী বাংলাদেশের হাফেজ তাকরিম প্রশংসায় ভাসছে
শুক্রবারের কলাম

বিশ্ব জয়ী বাংলাদেশের হাফেজ তাকরিম প্রশংসায় ভাসছে

৬ এপ্রিল, ২০২৩
কিয়ামতের দিন আরশের ছায়ায় জায়গা পাবেন যারা
শুক্রবারের কলাম

কিয়ামতের দিন আরশের ছায়ায় জায়গা পাবেন যারা

৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
রাসূল (সা.)-এর সময়ে বাজার বসতো যে স্থানে
শুক্রবারের কলাম

রাসূল (সা.)-এর সময়ে বাজার বসতো যে স্থানে

৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
যে কোন কাজে পরস্পর পরামর্শ করার গুরুত্ব
শুক্রবারের কলাম

গীবত হারাম ও কবিরা গুনাহ

২৫ নভেম্বর, ২০২২
কোথায় আলহামদুলিল্লাহ ও কোথায় ইনশাআল্লাহ বলতে হয়
শুক্রবারের কলাম

শুক্রবারের বিশেষ মুহূর্ত, যখন দোআ করলে আল্লাহ তাআ’লা ফিরিয়ে দেন না

১১ নভেম্বর, ২০২২
যে কোন কাজে পরস্পর পরামর্শ করার গুরুত্ব
শুক্রবারের কলাম

যে কোন কাজে পরস্পর পরামর্শ করার গুরুত্ব

৪ নভেম্বর, ২০২২
আরও দেখুন
পরবর্তী খবর
শেরপুরে আউশ ধান কাটা-মাড়াই শুরু

শেরপুরে আউশ ধান কাটা-মাড়াই শুরু

মোটিভেশন – ইমামুল হাসান তানভীর

মোটিভেশন - ইমামুল হাসান তানভীর

… অধিকার – রজত শাহা অন্তু

... অধিকার - রজত শাহা অন্তু

আরও বিভাগ দেখুন

এই রকম আরও খবর

উচ্চ আদালতে  ৫২ পণ্য বাতিল ঘোষণা; জানেন না অনেক ক্রেতা-বিক্রেতা!

উচ্চ আদালতে ৫২ পণ্য বাতিল ঘোষণা; জানেন না অনেক ক্রেতা-বিক্রেতা!

১৭ মে, ২০১৯
এক ‘ফু’তে বিয়ে, আরেক ‘ফু’তে তালাক

এক ‘ফু’তে বিয়ে, আরেক ‘ফু’তে তালাক

৮ অক্টোবর, ২০২১
পাহাড়ি ঢলে ব্রিজের মাটি সরে গিয়ে গাজীরখামার -নালিতাবাড়ী সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

পাহাড়ি ঢলে ব্রিজের মাটি সরে গিয়ে গাজীরখামার -নালিতাবাড়ী সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

২৪ আগস্ট, ২০১৮
শেরপু‌রে জী‌বিত তক্ষকসহ আটক দুই

শেরপু‌রে জী‌বিত তক্ষকসহ আটক দুই

১৪ মে, ২০২২
নালিতাবাড়ীর কলসপাড় ইউনিয়নের কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

নালিতাবাড়ীর কলসপাড় ইউনিয়নের কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

২৮ মে, ২০২২
শেরপুর টাইমস

প্রকাশক : আনিসুর রহমান, সম্পাদক : এস এ শাহরিয়ার মিল্টন, বার্তা সম্পাদক : এম. সুরুজ্জামান। খরমপুর, শেরপুর শহর, শেরপুর হতে টাইমস্ মিডিয়া কর্তৃক প্রকাশিত।

যোগাযোগ : 01711-664217 (সম্পাদক), 01740-588988 (নির্বাহী সম্পাদক), 01712-478862 (বার্তা সম্পাদক)। ইমেইল : news@sherpurtimes.com

© 2022 SherpurTimes - কারিগরি সহযোগিতায় ইকেয়ার সলিউশন.

No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • জেলার খবর
    • শেরপুর সদর
    • নকলা
    • নালিতাবাড়ী
    • ঝিনাইগাতী
    • শ্রীবরদী
  • জাতীয় খবর
  • উন্নয়নে শেরপুর
  • খেলার খবর
  • বিনোদন
  • তথ্য ও প্রযুক্তি
  • পর্যটন
  • উদ্যোক্তা
  • ফিচার
  • অন্যান্য
    • অন্য গণমাধ্যমের খবর
    • আন্দোলন সংগ্রাম
    • ইতিহাস ঐতিহ্য
    • গণমাধ্যম
    • পাঠকের কলাম
    • শিক্ষাঙ্গণ
    • শুক্রবারের কলাম
    • সাহিত্য
  • সম্পাদকীয়

© 2022 SherpurTimes - কারিগরি সহযোগিতায় ইকেয়ার সলিউশন.