আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মধ্যবিত্তের ওপর করের চাপ বাড়বে বলে মনে করে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে বাজেট নিয়ে এই পর্যালোচনা উপস্থাপন করেন সংস্থাটির সম্মাননীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, এবারের বাজেটে গরিব ও উচ্চবিত্তদের জন্য সহায়ক। তবে মধ্যবিত্তের ওপর করের চাপ বাড়বে। দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাজেটে বাংলাদেশের বিকাশমান শিক্ষিত মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীকে উপেক্ষা করা হয়েছ। নির্বাচনে যারা ব্যয় নির্বাহ করবেন; সেসব উচ্চ বিত্তদের সুবিধা দেওয়া হয়েছে। সিপিডি আগামী অর্থবছরে প্রস্তাবিত এ বাজেটকে নবীন বাংলাদেশের জন্য প্রবীণ বাজেট হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। সংস্থাটি বলছে, গতানুগতিভাবে বাজেটের আগে ব্যয় ঠিক করে তারপর আয়ের সংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে। সিপিডির পর্যেক্ষণে বলা হয়, বাজেটের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা বর্তমান বাস্তবাতার তুলনায় অনেক বেশি। চলতি অর্থবছরের এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে গেলে যে আয় তা অন্তত ৪০ শতাংশ বাড়াতে হবে।
এটি নির্বাচনী বাজেট কিনা- এমন প্রশ্নে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, সামাজিক নিরাপত্তার ভাতা ও সংখ্যা বাড়িয়ে গরিবদের তুষ্ট করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বাজেটে। তবে আমারা এটিকে নেতিবাচকভাবে দেখছি না। ব্যাংকের করপোরেট হার কমানোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ব্যাংকখাতের অনিয়ম, দুর্নীতি ও খেলাপি ঋণ বৃদ্ধির এ সময়ে তাদের বাড়তি সুবিধা দেওয়া ঠিক হয়নি।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ব্যাংক খাতে যে নৈরাজ্য চলছে তার সমাধান না করে তাদেরকে তুষ্ট করার যে ধারাবাহিকতা ছিল তাই বজায় রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত আগামী অর্থবছরের ২০১৮-১৯ জন্য ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেন।