শেরপুর জেলার অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র মধুটিলা ইকোপার্ক জেলার শ্রেষ্ঠ বিনোদন কেন্দ্রে পরিনত হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় বন সংরক্ষক মো. আমির হোসাইন চৌধুরী। তিনি আজ শনিবার (৮ অক্টোবর) সকালে নালিতাবাড়ী উপজেলার মধুটিলা ইকোপার্কে সামাজিক বনায়নের উপকারভোগীদের মাঝে লভ্যাংশের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান।
এসময় আমির হোসাইন চৌধুরী বলেন, আপনারা যদি সৌন্দয্য পিপাসু মানুষের দৃষ্টি আকর্ষন করতে চান তাহলে আপনার বাড়ি, আপনার ঘর ও এলাকার বনাঞ্চল সুন্দর করতে হবে। ভ্রমন পিপাসু মানুষ মধুটিলা ইকোপার্কে বেড়াতে এসে দেখে এখানে গাছ নেই, তাহলে কেউ খুশি হবে না। একবার আসলে পরে আর কেউ বেড়াতে আসবে না। যদি গাছ থাকে, পরিবেশ ভালো থাকে তাহলে বেড়াতে আসবে। তাই বনাঞ্চলকে ঠিক রাখা আপনাদের দায়িত্ব। কেননা আপনারা বন বিভাগের অংশীদার। কেউ বনাঞ্চল ধ্বংস করতে চাইলে আমরা আপনাদের সাথে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলবো।
প্রধান বন সংরক্ষক আরো বলেন, পৃথিবী থেকে হাতি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। বন্যহাতির জায়গায় মানুষ ঘরবাড়ি তৈরি করেছে। তাই বনে পর্যাপ্ত খাদ্য না পেয়ে বন্যহাতি লোকালয়ে চলে আসে। এজন্য বন্য হাতির আবাসস্থল নষ্ট করা যাবে না। জিআই তারের ফাঁদ পেতে বন্যহাতি মারা যাবে না। বন বিভাগের লোকজন ও ইলিফেন্ট রেসপন্স টিমকে সাথে নিয়ে হাতির জন্য প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। বন্যহাতি ও বনকে রক্ষা করতে হবে। বন্যহাতি দ্বারা কেউ ক্ষতিগ্রস্থ হলে সরকার ১৫ দিনের মধ্যে তার ক্ষতিপুরণ দিচ্ছে। এছাড়া শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী বাসিন্দারা বন বিভাগের সুফল প্রকল্পের আওতাভুক্ত হয়েছেন। সুফল প্রকল্পে প্রায় ২৫-৩০ প্রজাতির গাছ লাগানো হয়েছে। এতে যেমন উপকারভোগীরা আর্থিক সহযোগীতা পাবে তেমনী গারো পাহাড় সেই আগের মতো প্রাকৃতিক বনে ফিরে যাবে।
এই চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ময়মনসিংহ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা একেএম রুহুল আমীন। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমির হোসাইন চৌধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ঢাকা কেন্দ্রীয় অঞ্চলের বন সংরক্ষক হোসাইন মোহাম্মদ নিশাদ, শেরপুরের সহকারী বন সংরক্ষক আবু ইউসুফ ও নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোকছেদুর রহমান লেবু।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বন বিভাগের মধুটিলা রেঞ্জকর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, জামালপুরের ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জকর্মকর্তা আব্দুল করিম, প্রেসক্লাব নালিতাবাড়ীর সভাপতি আব্দুল মান্নান সোহেল, সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসমলাম মনির ও আয়নালহকসহ অন্যান্য উপকারভোগীরা। পরে অনলাইনে ১৪৫ জন উপকারভোগীদের মাঝে ৩ কোটি ২০ লাখ ৪৬ হাজার ৬৯৮ টাকার চেক বিতরণ করা হয়।