শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার ময়মনসিংহ বন বিভাগের আওতাধীন গারো পাহাড়ে স্থাপিত মধুটিলা ইকোপার্কের ভেতরে থাকা মিনি চিড়িয়াখানার একমাত্র চিত্রা হরিণটি রাতের আঁধারে চুরি করে জবাই করে খেয়ে ফেলেছে দূর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় বন কর্মকর্তারা অভিযুক্ত বাদশা মিয়া নামে একজনকে আটক করে জবাই করা ওই হরিণের চামড়া উদ্ধার করেছে। আটক বাদশা মিয়াকে মঙ্গলবার (৩০ মে) দুপুরে শেরপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাদশা মিয়া নামা বাতকুচি গ্রামের জাহেদ আলীর ছেলে।
সুত্রে জানা গেছে, মধুটিলা ইকোপার্কের ভেতরে মিনি চিড়িয়াখানায় থাকা দুইটি চিত্রা হরিণের মধ্যে একটির মরদেহের অংশ বিশেষ কিছুদিন আগে পাওয়া যায় পার্কের ভেতরেই। পরে ওই হরিণটি বন্য শেয়াল খেয়ে ফেলেছে বলে জানান বন কর্মকর্তারা। এদিকে চিড়িয়াখানায় থাকা একটিমাত্র চিত্রা হরিণটি গত রোববার রাতে পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বাতকুচি নামাপাড়া এলাকার কতিপয় দূর্বৃত্ত মিলে চুরি করে জবাই করে ভাগ বাটোয়ারা করে নেয়। সোমবার ভোরে বিষয়টি টের পেয়ে বন বিভাগের লোকজন তদন্তে নামেন। এ সময় বাতকুচি বাজার থেকে বাদশা মিয়াকে আটক করেন বন কর্মকর্তারা। পরে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বাদশা মিয়ার পুকুর থেকে জবাই করা হরিণের চামড়া উদ্ধার করা হয়। প্রাপ্ত বয়স্ক হরিণটির ওজন প্রায় ৫০ কেজির উপরে ছিল বলে কর্মকর্তারা জানান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ময়মনসিংহ বন বিভাগের মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন ২০১২ অনুযায়ী একটি মামলা দায়ের করে মঙ্গলবার আটককৃত বাদশাকে শেরপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এছাড়া চুরি করে হরিণ জবাইয়ের ঘটনায় ৭-৮ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। তাদেরকেও আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে।