শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার ভোগাই নদীতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করে অবৈধভাবে বালু পরিবহনের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অর্থদন্ড প্রাপ্ত ব্যক্তি ময়মনসিংহ জেলার চুরখাই এলাকার সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মোঃ সাজিত (২৬)।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) উপজেলার গোবিন্দনগর, ছয়আনী পাড়া, রাবারড্যাম, চার আনীপাড়া, বালুয়াকান্দা বাজার ও শিমুলতলা এলাকায় দিনব্যাপী যৌথভাবে ওই অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তার ববি ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) আনিসুর রহমান।
সুত্র জানায়, বাংলা ১৪৩১ সনে উপজেলার ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর কয়েকটি মৌজার ইজারার মেয়াদ সদ্য সমাপ্ত হয়েছে। এদিকে, মুল নদীতে বালু না থাকায় চলতি বাংলা ১৪৩২ সনের জন্য নতুন করে নদী দুটি ইজারা প্রদান করা হয়নি। এ সম্পর্কে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে সতর্কতা ও নিষেধাজ্ঞা জারি করে প্রচারনা করা হয়। কিন্তু এরপরও কতিপয় অসাধু বালু ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও পরিবহন করে আসছিল। এরই প্রেক্ষিতে উপজেলার ভোগাই নদীর গোবিন্দনগর, ছয় আনী পাড়া, রাবারড্যাম, চারআনী পাড়া, বালুয়াকান্দা বাজার ও শিমুলতলা এলাকায় দিনব্যাপী ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান এবং বিশেষ টহল অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা প্রশাসন।
এসময় অবৈধ বালু পরিবহনের দায়ে সাজিত নামের এক ব্যক্তিকে এক লাখ জরিমানা, ২০টি ড্রেজার মেশিন ধ্বংস ও ১৮টি বাঁশের মাচাসহ বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত অন্যান্য সরঞ্জামাদি অপসারণ করা হয়। একইসাথে ওই নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে সচেতনামূলক ব্যানার স্থাপন করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তার ববি বলেন, বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা সংশোধীত আইন ২০২৩ অনুসারে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ভোগাই ও চেল্লাখালী নদী জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চলতি বাংলা সনের জন্য ইজারা দেওয়া হয়নি। তাই কোনভাবেই এই দুই নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা যাবে না। যদি কোন ব্যক্তি আইন অমান্য করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এমনকি জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এই অভিযানে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: সোহেল রানা ও ছাত্রদের সমন্বয়ে গঠিত একটি ভলান্টিয়ার টিম সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। অভিযানে সহায়তায় ছিলেন পুলিশ বাহিনী, ব্যাটালিয়ন আনসার ও এলাকাবাসী।