ভ্যালেন্টাইনস ডে বা বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের আর মাত্র বাকী আছে একদিন। এই বিশেষ দিনে সবাই চান প্রিয় মানুষকে খুশি রাখতে। এ জন্য কত কিছুই না আয়োজন করেন। এদিনে প্রিয় মানুষটিকে দামি উপহার দিতেও প্রস্তুত থাকে যুগলরা।
সামনেই ভালোবাসার দিবসের এ দিন। ফুল, কার্ড, চকোলেট আর নানা উপহারে মনের মানুষকে ভরিয়ে দেওয়ার দিন। এই ভালোবাসার দিন নিয়েই রয়েছে বেশ কিছু মজার অজানা তথ্য।
চলুন জেনে নিই সে সম্পর্কে-
১. কাগজে কলমে কাজের দিন। কিন্তু বাস্তবে ভ্যালেন্টাইন ডে-তেই বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ ছুটি কাটিয়ে থাকেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৯০ লাখ মানুষ তাদের পোষা প্রাণীর জন্য ভ্যালেন্টাইন উপহার কিনে থাকেন।
২. ভিক্টোরিয়ান টাইমসে এটা মনে করা হত যে, ভ্যালেন্টাইনস ডে কার্ড দুর্ভাগ্য বয়ে আনে৷
৩. পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে ৩ শতাংশ পশুপ্রেমী তাদের পোষ্যকে ভ্যালেন্টাইনস ডে-র উপহার দিয়ে থাকেন।
৪. রিচার্ড ক্যাডবেরি ১৮০০ সালে ভ্যালেন্টাইনস ডে-র দিনে প্রথম চকোলেট তৈরি করেছিলেন।
৫. সারা পৃথিবীতে এই দিনে ৩৫ মিলিয়নেরও বেশি হার্ট শেপ চকোলেট বিক্রি হয়।
৬. ৭৩ শতাংশ পুরুষ ভ্যালেন্টাইনস ডে-র দিন ফুল কেনেন, তার প্রেমিকার জন্য৷ সেখানে মেয়েদের সংখ্যাটা ২৭ শতাংশ।
৭. প্রত্যেক বছর এই দিনে গড়ে ২,২০,০০০ মানুষ বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে থাকেন।
৮. এখনো প্রতি বছর ভ্যালেন্টাইনস ডে-র দিনে ইতালির শহর ভেরোনায় জুলিয়েটের নামে হাজারেরও বেশি চিঠি আসে।
৯. ১৫৩৭ সালে ইংল্যান্ডের রাজা দ্বিতীয় হেনরি সরকারিভাবে আজকের দিনে ছুটি ঘোষণা করেছিলেন।
১০. আগে, মানুষের ধারণা ছিল যদি কোনো নারী এই দিনে উড়ন্ত রবিন পাখি যদি দেখেন তাহলে তার বিয়ে হবে একজন নাবিকের সাথে। যদি চড়াই পাখি দেখেন তাহলে একজন গরীব ব্যক্তির সাথে বিয়ে হবে কিন্তু তিনি সুখী হবেন।
১১. ষোলশ শতাব্দীতে সর্বপ্রথম ভ্যালেন্টাইন’স ডে এর জন্য হাতে বানানো কার্ড তৈরি হয়। এরপর ১৮০০ সালে ফ্যাক্টরিতে কার্ড বানানো চালু হয় যদিও কার্ডে রঙ করানো হতো ফ্যাক্টরি শ্রমিকদের দিয়ে।
১২. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ১৫% মহিলা যে চকলেট এবং ফুল উপহার পান ভ্যালেন্টাইন’স ডে তে, তারা নিজেদেরকেই নিজেরা পাঠান৷
১৩. ফিনল্যান্ডে ভ্যালেন্টাইন’স ডে পালিত হয় না। সেখানে পালিত হয় ফ্রেন্ড’স ডে। বন্ধুবান্ধবের জন্য ভালোবাসা।
১৪. প্রতিবছর ভ্যালেন্টাইন’স ডে তে শুধুমাত্র আমেরিকাতেই ১ বিলিয়নের চকলেট বিক্রি হয়৷
সূত্র: কলকাতা২৪।