ফরিদপুরে সাত ফুট লম্বা মিঠাপানির বিলুপ্তপ্রায় একটি কুমির উদ্ধার করেছে বনবিভাগ। সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী উদ্ধার কেন্দ্রে নেওয়া হচ্ছে কুমিরটিকে।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে সদর উপজেলার আলিয়াবাদ ইউনিয়নের গজারিয়ায় ভুবনেশ্বর নদ থেকে কুমিরটি উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, ১১ অক্টোবর বিকেলে চরভদ্রাসন উপজেলার গাজীরটেক ইউনিয়নের শিকদার ডাঙ্গী গ্রামের ভুবনেশ্বর নদে প্রথম কুমিরটি দেখা যায়। পরদিন বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে কয়েকবার কুমিরটি ভেসে ওঠে। এতে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বকলুকার রহমান বলেন, কুমির দেখার বিষয়টি থানা ও বনবিভাগকে জানানো হয়। স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ গিয়ে এলাকার মানুষকে সতর্ক করে। বিভিন্ন মসজিদ থেকে মাইকিংও করা হয়।
খুলনা থেকে আসা প্রাণী সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের প্রাণী বিশেষজ্ঞ মফিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, কুমিরটি উদ্ধারে রোববার দুপুরে ফরিদপুরের সদর উপজেলার পাটপাশা এলাকায় পরিদর্শনে যায় উদ্ধারকারী দল। তবে সেখানে কুমিরের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে আজ দুপুরে গজারিয়ায় ব্রিজের কাছে ভুবনেশ্বর নদে কুমিরটি দেখতে পেলে উদ্ধার করা হয়।
মফিদুল ইসলাম চৌধুরী আরও বলেন, উদ্ধার কুমিরটি মিঠা পানির একটি বিলুপ্ত প্রায় প্রজাতির। প্রায় সাত ফুট লম্বা এটি। কুমিরটি প্রথমে সুন্দরবনের করমজল বণ্যপ্রাণী উদ্ধার কেন্দ্রে নেওয়া হবে। পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে ২০২১ সালের ৯ আগস্ট ফরিদপুর সদরের নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নে পদ্মা নদীর সঙ্গে সংযুক্ত একটি খালে মিঠা পানির একটি কুমির পাওয়া গিয়েছিল। কুমিরটি সাত দিন ধরে ওই জলাধারে অবস্থান করেছিল। পরে সেটিকে ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে পাঠায় প্রাণী সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ।
এরপর গত বছরের আগস্ট মাসে সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের মনসুরাবাদ গ্রামে ভোরবেলা মুরগির ছটফট শব্দ পেয়ে খোপের দিকে এগিয়ে গেলে কুমিরের কামড়ে পায়ে ও হাতে জখম হন।