শেরপুরের থানামোড় বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে স্থাপিত আরোহী সহ ঘোড়ার ভাস্কর্য স্থাপন নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়াসহ নানা বিষয়ে পৌর কৃর্তপক্ষের অবস্থান পরিস্কার করতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পৌরসভার মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন।
সোমবার বিকালে পৌরসভার সভাকক্ষে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে পৌর মেয়র ভাস্কর্যটি অপসারণে নাগরিক সমাজের দেয়া ৭ দিনের আল্টিমেটাম প্রত্যাখান করেন । সেই সাথে বিতর্ক অবসানের লক্ষ্যে স্থান প্রাপ্তি সাপেক্ষে সুবিধাজনক সময়ে ভাস্কর্যটি অন্যত্র প্রতিস্থাপন করা হবে বলে ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান , পৌরসভার ১৫০ বছর পূর্তি উৎসব উপলক্ষে সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে প্রায় ৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ভাস্কর্যটি নির্মাণ করা হয়। শেরপুর ছিল জমিদারদের শাসিত একটি অঞ্চল। তৎকালিন জমিদারেরা শিক্ষা ও অন্যান্য উন্নয়ন কাজের মাধ্যমে শেরপুরে অন্যন্য ভূমিকা রেখেছেন । তাই সংগত কারণেই ভাস্কর্যটি শেরপুরের একটি ঐতিহ্য স্মারক হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। এটি নির্মাণে পৌর পরিষদের যেমন সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত রয়েছে। ঠিক তেমনি জাতীয় সংসদের হুইপ ও স্থানীয় সাংসদ আতিউর রহমান আতিকের সম্মতিও ছিল। তাই ভাস্কর্যটি এ মুহূর্তে অপসারণের যৌক্তিকতা দেখি না। তথাপি বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি জেলা আইন-শ্ঙ্খৃলা কমিটির সভায় পক্ষে-বিপক্ষে কথা হয়েছে। তাই সুবিধাজনক সময়ে ও স্থান প্রাপ্তি সাপেক্ষে ভাস্কর্যটি অপসারণ করে অন্যত্র প্রতিস্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে পৌরসভার। এ বিষয়ে নাগরিক সমাজ নেতৃবৃন্দকে ধৈর্যধারণ করার জন্য আহবান জানিয়ে ভাস্কর্যটি সরিয়ে শহরের কোথায় প্রতিস্থাপন করা যেতে পারে সে বিষয়েও সাংবাদিকদের পরামর্শ নেন।
সংবাদ সম্মেলনে পরামর্শমূলক বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাব সভাপতি শরিফুর রহমান, সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আধার, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মেরাজ উদ্দিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাবিহা জামান শাপলা, সিনিয়র সাংবাদিক তালাপতুফ হোসেন মঞ্জু, সঞ্জীব চন্দ বিল্টু, জিএইচ হান্নান, ফজলুল কবীর সুরুজ, সাংবাদিক আদিল মাহমুদ উজ্জল, সোহেল রানা প্রমুখ।
এছাড়াও সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন, শেরপুর জেলা শাখার সভাপতি রাজিয়া সামাদ ডালিয়া, শেরপুর সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক শিবশঙ্কর কারুয়া শিবু, শেরপুর মডেল গার্লস কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তপন সারওয়ার, পৌর প্যানেল মেয়র আতিউর রহমান মিতুল ও তৌহিদুর রহমান বিদ্যুৎসহ পৌর পরিষদের অন্যান্য সদস্য, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।