চলে এলাম প্রিয় শেরপুর ছেড়ে।ছোট্ট একটা শহর কি এক মায়ার বাঁধনে জড়িয়ে রেখেছিলো আমাদের! শেরপুরকে ভালোবেসে এমনি আবেগাপ্লুত হয়েছেন শেরপুরের সাবেক সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আরাফাত উল আলম। ৩৪তম বিসিএসে প্রশাসনের পর শিক্ষানবিশ কর্মকর্তা হিসেবে শেরপুর জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট হিসেবে যোগ দেন। দায়িত্বের তাগিদে এরপর আজ যোগ দিয়েছেন খুলনা বিভাগীয় কমশিনারের কার্যালয়ে। শেরপুর ছেড়ে যাবার পর গতরাতে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে শেরপুরের প্রতি ভালোবাসা আর আবেগের কথা জানিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন সরকারের এই কর্মকর্তা।
তিনি লিখেন, কাজের সুবাদে বিভিন্ন পর্যায়ে শেরপুরের যে মানুষগুলোর সাথে মিশেছি তাদের প্রতি অপরিসীম কৃতজ্ঞতা জানাই। তাদের কাছে ঋণী থাকবো সারাজীবন। ঋণী থাকবো প্রিয় শেরপুরের কাছে। ঋণী থাকবো শেরপুরের সবুজ -শ্যামল প্রকৃতির কাছে,মাটি ও মানুষের কাছে। কর্মজীবনের ভিত্তিটাতো এখানেই। ভালো থেকো প্রিয় শেরপুর।
শেরপুরের জেলা প্রশাসক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধার বহিঃপ্রকাশ করে তিনি লিখেছেন, শ্রদ্ধেয় ডিসি স্যার একজন সত্যিকারের কর্মবীর মানুষ। একজন অত্যন্ত দক্ষ, পরিশ্রমী কর্মকর্তা হিসেবে স্যার তাঁর মেধা – দক্ষতা দিয়ে যেমন করে শেরপুরের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডে ভূমিকা রাখছেন,জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌছে দেয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন, তেমনি তাঁর রুচিশীল চেষ্টায় গজনী হয়ে উঠছে অনন্য পর্যটন কেন্দ্র, অফিসার্স ক্লাব, লেডিস ক্লাব হয়ে উঠছে আনন্দময় অবসর কেন্দ্র আর স্যারের বাংলোটা যেন একটা অনিন্দ্য ডিসি বাংলো। মোটকথা,আমাদের শেরপুর অনন্য শেরপুর হয়ে উঠছে। ইস, খুব মিস করবো সব!
কর্মস্থল শেরপুরের প্রতিটি মানুষের ভালোবাসায় তিনি মুগ্ধ হয়েছেন প্রতিনিয়ত। কাজের জন্য পরিচিত প্রতিটি মানুষের প্রতি তার ভালোবাসা প্রকাশ পেয়েছে। তাই তিনি লিখেছেন, শ্রদ্ধেয় ডিসি স্যারসহ অন্যান্য সিনিয়র স্যারদের স্নেহ -ভালোবাসা,আশ্রয় -প্রশ্রয়, শিক্ষামূলক নানা দিক নির্দেশনা, আদর-শাসন সারাজীবনের জন্য আমার ব্যক্তি ও পেশাগত জীবনে ছাপ ফেলবে নিঃসন্দেহে। ডরমিটরিতে কখনো মনেই হয়নি পরিবারের বাহিরে আছি। আমরা ছিলাম একটি পরিবার। ফরিদ স্যার, মুকতাদির স্যার, মামুন স্যার, মাসুদ স্যার, সুমন্ত স্যার, আমরা সাত যন্ত্রণা (যন্ত্র না) আর আমাদের ইব্রাহিম, একটি সুখী -সুস্থ ,সুন্দর পরিবার!
ভালোবাসার মানুষদের নিয়ে মনের ভেতর গড়েছিলেন শেরপুর নিয়ে ভালোবাসার গ্রুপ (শেরপুর এমএম সেভেন)। এব্যপারে তিনি লিখেন, আমাদের সাত জনের (SHERPUR MM7) গল্প নাইবা বললাম। সেই গল্পের শেষ নেই। সারাজীবনের জন্য এক গভীর বন্ধনে জড়িয়ে পড়ার গল্পটাতো শুরুই হলো শেরপুরে।
জন্মস্থান চট্টগ্রামে হলেও অল্প সময়েই শেরপুরের প্রতি ভালোবাসা পেয়ে বসেছিলো সদা হাস্যোজ্জল এই মানুষের মনে। আর এমনটাই প্রকাশ পেয়েছে তার নিজ ফেসবুক স্ট্যাটাসে।
যেখানেই থাকুন, ভালো থাকুন। শেরপুর টাইমস ডট কম ও শেরপুর টাইমস টিভির পক্ষ হতে আপনার সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা।