শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্ত পথে ভারত থেকে বাংলাদেশে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ৪ জন পুরুষ ৪ জন নারী ও ৩ জন শিশুসহ ১১ বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করা হয়েছে।
রবিবার (১ জুন) দুপুরে আটককৃতদের শেরপুর আদালতে সোর্পদ করেছে পুলিশ। এর আগে শনিবার উপজেলার সীমান্তবর্তী রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের পানিহাটা পাদ্রী মিশনের পূর্ব পার্শ্বে ১১১৮/৯-এস ভারত সীমানা পিলার থেকে প্রায় ৫০০ গজ বাংলাদেশের ভেতর থেকে বিজিবির রামচন্দ্রকুড়া ক্যাম্পের সদস্যরা তাদেরকে আটক করেন। পরে তাদেরকে থানায় হস্তান্তর করা হয়।
আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন- নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার কুমড়ী গ্রামের ছন্দার মোল্লার ছেলে আবুল কালাম (৩৪), মৃত মিন্টু শেখের মেয়ে আলপনা খানম (২৩), চরদীগলিয়া গ্রামের এহিয়া শেখের ছেলে ইমরান শেখ (৩৫), ইমরান শেখের স্ত্রী রোকেয়া বেগম (২৭), পুত্র লিমন শেখ (৫) ও মেয়ে সামিয়া (৫ মাস)। একই জেলার কালিয়া উপজেলার ভোমবাগ দাউদ মোল্লার ছেলে রানা মোল্লা (২৬), রানা মোল্লার স্ত্রী নাসরিন বেগম (২৩), ছেলে ইরফান মোল্লা (৫)। খুলনা জেলার দীঘলিয়া উপজেলার উত্তর চান্দনী মহল গ্রামের সাহাব উদ্দিনের মেয়ে মোছাঃ লিচি (৪৮), ফজর মোল্লার ছেলে রুবেল মোল্লা (২৫)।
পুলিশ জানায়, শনিবার (৩১ মে) জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া বিজিবি ক্যাম্পের একটি টহল দল সীমান্তবর্তী পানিহাটা মিশন এলাকায় নিয়মিত টহলে যায়। এসময় নারী ও শিশুসহ ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক সীমান্তের কাছাকাছি পাহাড়ের মধ্যে সন্দেহজনকভাবে ঘুরাঘুরি করতে দেখেন। সীমান্ত এলাকায় ঘুরাঘুরির কারণ জানতে চাইলে তারা পাহাড় দেখতে এসেছে বলে জানান। তাদের কথাবার্তা সন্দেহজনক হলে বিজিবি সদস্যরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, কাজের সন্ধানে গত কয়েক বছর আগে পাসপোর্ট ব্যতিত বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করেছিল। কাজ শেষে পুনরায় অবৈধ পথেই দেশে ফিরে আসছিল তারা। পরে তাদেরকে আটক করে রামচন্দ্রকুড়া বিজিবি ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়। তাদের কাছ থেকে দুটি মুঠোফোন ও বাংলাদেশি সিমকার্ড ও ভারতীয় রুপি জব্দ করা হয়।
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহেল রানা বলেন, ভারত থেকে বাংলাদেশে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের অভিযোগে শনিবার আসামিদের হস্তান্তর করে থানায় একটি মামলা করেছে বিজিবি। রবিবার দুপুরে আটক আসামিদের শেরপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
