ঈদুল আযহার প্রধান আকর্ষণ পশু কোরবানি করা। নিজের অর্থে কেনা পশুটি আল্লাহর নামে উৎসর্গ করে জবাই করার মাধ্যমে একজন প্রকৃত মুসলমান মূলত নিজেকে আল্লাহর কাছে সমপর্ণের শিক্ষা নেয়।
চলুন জেনে নেওয়া যাক কোরবানির পশু কেনা ও জবাই সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু মাসআলা। (মাওলানা আশরাফ আলি থানভি রহ. কর্তৃক প্রণীত বেহেশতি জেওর থেকে গৃহীত)
মাসআলা: কেউ চাইলে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পক্ষ হয়ে কোরবানি করতে পারে। এছাড়া মৃত আত্মীয়-স্বজন, জীবিত আত্মীয়-স্বজনের পক্ষ থেকেও কোরবানি করা জায়েজ আছে।
মাসআলা: যদি কেউ নিজের খুশিতে কোনো মৃত ব্যক্তির সওয়াব পৌঁছানোর উদ্দেশে কোরবানি করে, তবে তা জায়েজ আছে এবং ওই গোশত নিজেও খেতে পারবে এবং যা কে ইচ্ছা দিতেও পারবে।
মাসআলা: যদি একটি গরুতে সাত জনের কম ৫/৬ জন শরিক হয় এবং কারো অংশ সাতভাগের কম না হয়; (যেমন, ৭০ হাজার টাকা দিয়ে গরু কিনলে কারো অংশে যেন দশ হাজার টাকা কম না হয়) তবে সবার কোরবানি জায়েজ হবে। আর যদি আট জন অংশীদার হয়, কবে কারো কোরবানি বৈধ হবে না।
মাসআলা: যদি গরু কেনার আগে সাতজন অংশীদার হয়ে সবাই মিলে কেনে, তবে তা উত্তম, আর যদি কেউ একা একটি গরু কোরবানির জন্য কেনে এবং মনে মনে ইচ্ছা রাখে যে, পরে আরো লোক শরিক করে তাদের সঙ্গে মিলে কোরবানি করবে, তবে সেটাও জায়েজ আছে। কিন্তু যদি গরু কেনার সময় অন্যকে অংশীদার করার ইচ্ছা না থাকে, বরং একাই কোরবানির নিয়ত করে থাকে, কিন্তু পরে অন্যকে অংশীদার করতে চায়, এমতাবস্থায় যদি ওই ক্রেতা লোকটি গরিব হয় এবং তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব না থাকে, তবে সে তার কেনা পশুতে এখন অন্য কাউকে অংশীদার করতে পারবে না, বরং একা একাই গরুটি কোরবানি করতে হবে (যার ওপর কোরবানি ওয়াজিবই হয়নি তার জন্য প্রযোজ্য)। আর যদি ওই ক্রেতা সম্পদশালী হয় এবং তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হয়ে থাকে, তবে ইচ্ছা করলে পরে অন্য অংশীদার নিতে পারবে।
মাসআলা: কোরবানির চামড়ার পয়সা পারিশ্রমকি হিসেবে দেওয়া জায়েজ নয়। কারণ, সেটা দান করে দেওয়া জরুরি।