শেরপুরের নকলা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও পুলিশ প্রশাসনের আন্তরিকতায় বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে প্রিয়াংকা দেব নাথ ফিরে পেলো তার বাবা মার ভালোবাসাকে। ১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার ভাইস চেয়ারম্যান সারোয়ার আলম তালোকদার ও নকলা থানার পুলিশ পরিদর্শক (অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত ওসি) খাঁন আব্দুল হালিম সিদ্দিকীর সার্বিক সহযোগিতায় হারিয়ে যাওয়া সন্তান প্রিয়াংকা দেবনাথকে ফিরে পেলো ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার বনগ্রাম এলাকা থেকে হারিয়ে যাওয়া প্রিয়াংকার বাবা সত্য দেবনাথ ও তার আত্মীয়রা।
জানাগেছে, অষ্টম শ্রেণি পাশকরা প্রিয়াংকা দেবনাথ পথ হারিয়ে অজ্ঞাত কোন এক গাড়িতে করে ১৩ ফেব্রুয়ারি সোমবারে নকলায় চলে আসে। সেখানে এসে প্রিয়াংকা এদিক সেদিক চলতে থাকায় সবাই পাগল ভেবে তার সাথে তামাশা করতে থাকে। ওই দিন সন্ধায় নকলা হল পট্টি এলাকার লিপু হোটেলের সামনে থেকে ভাইস চেয়ারম্যান সারোয়ার ও শিক্ষক মোশারফ হোসেন প্রিয়াংকাকে থানায় নিয়ে যান। থানার পুলিশ পরিদর্শক (অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত ওসি) খাঁন আব্দুল হালিম সিদ্দিকী তাৎক্ষনিক ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানার ওসির সাথে যোগাযোগ করে প্রিয়াংকার সঠিক পরিচয় জানতে পারেন।
ওই রাত্রে প্রিয়াংকাকে পুলিশ পরিদর্শক খাঁন আব্দুল হালিম সিদ্দিকী থানায় পুলিশ হেফাজতে রেখে দেন। ১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গল বার সকাল ১১টায় প্রিয়াংকার আত্মীয়রা এসে তাকে নিয়ে যান। সব জনপ্রতিনিধি ও থানর কর্মকর্তারা যদি ভাইস চেয়ারম্যান সারোয়ার আলম তালোকদার ও নকলা থানার পুলিশ পরিদর্শক (অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত ওসি) খাঁন আব্দুল হালিম সিদ্দিকীর মতো হতেন তাহলে দেশ আরও এগিয়ে থাকতো বলে মত দিচ্ছেন সুধীজনরা।
তারা বলেন, জনপ্রতিনিধিরা জনদরদি, আর পুলিশ জনগনের সেবক, এটা আজ প্রমান করলেন ভাইস চেয়ারম্যান সারোয়ার ও পুলিশ পরিদর্শক হালিম সাহেব। তাদের সহযোগিতার মনোভাব ও আন্তরিকতায় হারিয়ে যাওয়া মেয়েকে পেয়ে সত্য দেবনাথ মহা খুশি। তিনি বলেন, নকলা বাসীর কাছে ভালোবাসা দিবসে আমার মেয়েকে উপহার হিসেবে পেলাম।
এই উপহার কোন দিন ভুলার মতো নয়। প্রিয়াংকাকে তার বাবা মার কাছে পৌঁছে দিতে পেরে ভাইস চেয়ারম্যান সারোয়ার আলম তালোকদার ও খাঁন আব্দুল হালিম সিদ্দিকী তারাও খুব তৃপ্ত।