বোরো খেতে পানি দেওয়া নিয়ে কথার কাটাকাটির জেরে বড় ভাইয়ের লাঠির আঘাতে ছোটভাই খুন হয়েছেন।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনাটি গতকাল শুক্রবার দুপুরে নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোরাউন্দ গ্রামে ঘটে
নিহত ব্যক্তির নাম পলাশ মিয়া (২৮)। তিনি ওই গ্রামের রব আলী তালুকদারের ছেলে। আর অভিযুক্তের নাম মো. আল আমিন (৪০)।
এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আল আমিন ও পলাশ মিয়া সৎ ভাই। একই বাড়িতে তারা পৃথকভাবে বসবাস করেন। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে তাদের বাড়ির সামনে ইঞ্জিন চালিত সেলু মেশিন বসানো হয় বোরো খেতে পানি দেওয়ার জন্য।
এসময় পলাশ মিয়া তার ক্ষেতে আগে পানি দিতে বলেন। বিষয়টি নিয়ে বাড়ির সামনে উঠানে ভাইদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এক পযায়ে আল আমিন উত্তেজিত হয়ে পলাশকে বাঁশের লম্বা লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। এতে পলাশ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
অবস্থার অবনতি হলে ওই হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত পলাশের সহোদর পিতাস মিয়া (২০) বলেন, আমরা মোট পাঁচ ভাই। এক মায়ের গর্ভের চার ভাই। আর আল আমিন সবার বড়। শুক্রবার ক্ষেতে পানি দেওয়াকে কেন্দ্র করে আল আমিন আমাদের সঙ্গে ঝগড়া লেগে পলাশকে মাথায় বাঁশ দিয়ে আঘাত করে মেলে ফেলেছে। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এ দিকে, ঘটনার পর থেকে আল আমিন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে। তার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় এ নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে বারহাট্টা থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
#যুগান্তর