অ্যান্টিগা টেস্টে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের আটজন ব্যাটসম্যান ক্রিজে এসেছেন, যার মধ্যে চারজনই ফিরেছেন রানের খাতা না খুলেই। ব্যাটসম্যানদের টানা ব্যর্থতায় উইন্ডিজ সফরের শুরুটা হয়েছে দুঃস্বপ্নের মতো। প্রথম সেশন শেষে ২৫ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে মোটে ৭৬ রান করেছে সফরকারীরা।
ব্যাট হাতে কোনো কূলকিনারা খুঁজে পাচ্ছেন না মাহমুদুল হাসান জয়, নাজমুল হোসেন শান্ত এবং মুমিনুল হক। শ্রীলঙ্কা সিরিজের বাজে ফর্মকে এই সিরিজেও টেনে এনেছেন তারা, তিনজনই ফিরেছেন শূন্য রানে।
কেমার রোচের করা ম্যাচের প্রথম বল থেকে সিঙ্গেল নিয়ে জয়কে স্ট্রাইক দিয়েছিলেন তামিম। দ্বিতীয় বলেই খোঁচা দিয়ে স্লিপে ক্যাচ হয়ে ফিরেছেন জয়। রোচের পরের ওভারের প্রথম বলেই শান্তর ব্যাট-প্যাডের ফাঁক গলে বল গিয়ে আঘাত হানে স্টাম্পে।
অধিনায়কত্বের ভার কাঁধ থেকে নেমেছে মুমিনুল হকের, তবু নির্ভার হতে পারলেন কই! টেস্ট ক্রিকেটে একসময় বাংলাদেশের অন্যতম নির্ভরযোগ্য এই ব্যাটসম্যান এখন নিজের সেই পুরনো সত্ত্বাকে হাতড়ে খুঁজছেন। ম্যাচের ষষ্ঠ ওভারে জেডেন সিলসের স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি।
১৬ রানে ৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশের স্মৃতিপটে তখন সবশেষ উইন্ডিজ সফরে অ্যান্টিগায় টেস্ট ইতিহাসে নিজেদের সর্বনিম্ন স্কোর ৪৩ রানের দুঃস্মৃতি ভেসে উঠছে। তবে চতুর্থ উইকেটে তামিম ইকবাল এবং লিটন দাস কিছু সময়ের জন্য সেই ধসে বাঁধ দিতে সক্ষম হন।
এরইমধ্যে সপ্তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কেমার রোচকে ফ্লিক করে তিন রান নেন তামিম। আর তাতে মুশফিকুর রহিমের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে ৫ হাজার টেস্ট রানের মাইলফলক অর্জন করেন তিনি। এই মাইলফলক ছুঁতে মুশফিকের প্রয়োজন ১৪৯ ইনিংস, তবে তামিম তার চেয়ে ১৯ ইনিংস কম (১৩০) খেলেই পাঁচ হাজারি ক্লাবের নিজের নাম লিখিয়েছেন।
মাইলফলক স্পর্শের পর অবশ্য বেশিক্ষণ ক্রিজে টেকেননি তামিম। ১৪তম ওভারে ব্যক্তিগত ২৯ রানে আলজারি জোসেফের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন। এরপরের ওভারেই এক বলের ব্যবধানে নিজেদের উইকেট খুইয়েছেন লিটন দাস (১২) ও নুরুল হাসান সোহান (০)।
এরপর ৪৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশের হাল ধরেছেন এই টেস্ট দিয়েই আবারও দলের নেতৃত্ব পাওয়া সাকিব আল হাসান। মেহেদি হাসান মিরাজকে সপ্তম উইকেটে ৬০ বলে ৩১ রানের জুটি গড়ে ধস ঠেকিয়েছেন তিনি।
সাকিব ৩৯ বলে ২৭ এবং মিরাজ ২১ বলে ২ রান নিয়ে দ্বিতীয় সেশনের খেলা শুরু করবেন।
নর্থ সাউন্ডের স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে দুই টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল উইন্ডিজ।