‘পৃথিবীর অনেক দেশে চাহিদামত মাছ, মাংস, সবজিসহ সব ধরনের খাবার কেনা যায়। আর আমাদের দেশে এক কেজির কম মাছ, মাংস কিনতে গেলে সবাই হাসাহাসি করে। কি অদ্ভুত আমাদের মানসিকতা।’ গতকাল শনিবার রাত ১১টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এভাবেই শুর হয় একটি স্ট্যাটাস।
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় ক্রেতাদের সামর্থ্য অণুযায়ী তাদের কাছে মাছ, মাংস (অন্তত ২৫০গ্রাম) বিক্রির জন্য ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারুক আল মাসুদ এ স্ট্যাটাস দেন।
‘ইউএনও ঝিনাইগাতী শেরপুর’ নামের ফেসুবক প্রোফাইলটি ইউএনও নিজেই চালান। এব্যাপারে তিনি বলেন, পৃথিবীর অনেক এই রকম পদ্ধতি তো অনেক দেশেই চালু আছে। সকল শ্রেণি পেশার মানুষ তাদের সামর্থ্য অণুযায়ী মাছ, মাংস কিনে খেতে পারেন। এছাড়া কোভিডের কারণে অনেক মানুষের আয় কমে গেছে। সবাই যাতে অন্তত পুষ্টিকর খাবার খেতে পারে,সেই চিন্তা থেকে আমি এই পোস্ট দিয়েছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, এ উপজেলার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এবিষয়ে আলোচনা করে অন্তত ২৫০ গ্রাম পর্যন্ত মাছ, মাংস বা সবজি বিক্রয় করার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।
ইউএনও তার স্ট্যাটাসে আরও যা লিখেন, কারো বাসার ফ্রিজে মাছ, মাংস রাখার জায়গা হয়না। আবার কেউ কেউ বছরে একবার, শুধুমাত্র কুরবানির সময় মাংস খেতে পারে। আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন এবং ব্যবসায়ী ভাইদের সদিচ্ছা থাকলে অন্তত খেটে খাওয়া মানুষগুলো ভাল খেতে পারবে।
আরও লিখেন, ভারতের প্রায় সব রাজ্যে কেউ চাইলে এক পিছ কাঁচা মরিচ পর্যন্ত কিনতে পারে। আমাদের ঝিনাইগাতিতে পিছ হিসেবে না হোক, অন্তত ২৫০ গ্রাম পর্যন্ত মাছ, মাংস বা সবজি বিক্রয় করলে কেউ ভাল খাবারের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে না।