জান্নাত হল ইসলামিক পরিভাষা অনুযায়ী, পার্থিব জীবনে যে সকল মুসলিম আল্লাহর আদেশ নিষেধ মেনে চলবে এবং পরকালীন হিসাবে যার পাপের চেয়ে পুণ্যের পাল্লা ভারী হবে ও আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করবে তাদের জন্য আল্লাহ যে সকল স্বর্গ প্রস্তুত রেখেছেন। এটি একটি আরবি শব্দ, যার শাব্দিক অর্থ হল ‘বাগান’ বা ‘উদ্যান’। প্রচলিত বাংলা ভাষায় একে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বেহেশত বলা হয়ে থাকে।
মানুষের আসল ও শেষ ঠিকানা পরকাল। দুনিয়া ক্ষণস্থায়ী পরকালে মানুষের বসবাসের জন্য থাকবে দু’টি ব্যবস্থা। একটি জান্নাত অপরটি জাহান্নাম।
যারা কুপ্রবৃত্তি থেকে নিজেকে মুক্ত করে ভালো কাজে নিজেকে যোগ্য করে গড়বে তাদের চিরস্থায়ী আবাস হবে জান্নাত। কিন্তু এ জান্নাতের ঘরসমূহ কিসের তৈরি?
হযরত আবু হোরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, আমি আরজ করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! বেহেশত কিসের তৈরি? উত্তরে হুজুর (সা.) এরশাদ করেন, একটি স্বর্ণের ইট, একটি রৌপ্যের ইট এবং প্রাসাদ তৈরির উপকরণ (যার দ্বারা ইটগুলোকে পরস্পর গাঁথা হয়েছে) তীব্র সুবাসযুক্ত কস্তুরী, তার ইট, মোতি ও ইয়াকুত এবং তার মাটি জাফরান।
যে ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে সে চিরস্থায়ীভাবে নিয়ামতের মধ্যে থাকবে। সে কখনো কোনো বস্তুর মুখাপেক্ষী হবে না, অনন্ত জীবনের অধিকারী হবে এবং কখনো তার মৃত্যু হবে না।
বেহেশতীদের পোশাক-পরিচ্ছদ কখনো পুরাতন হবে না, তাদের যৌবনশক্তিও কখনো ক্ষয় পাবে না। (আহমদ ও তিরমিজী)
সুতরাং জান্নাত লাভে মুমিন মুসলমানের উচিত, অন্যায় ও কুপ্রবৃত্তি থেকে নিজেদের হেফাজত করার পাশাপাশি ন্যয় ও সত্যের পথে কঠোর পরিশ্রমে নিজেদের নিয়োজিত করা জরুরি।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সোনা, রূপা, মিসক, মনি-মুক্তার পাথর এবং জাফরান দ্বারা নির্মিত জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম লাভ করার তাওফিক দান করুন। জান্নাতুল ফেরদাউস লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন। তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।