মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা নারী-পুরুষ সৃষ্টির পর তাদের উভয়কে বিভিন্ন দায়িত্বও প্রদান করেছেন। নারীদেরকে যেহেতু আল্লাহ তায়ালা পুরুষের তুলনায় দুর্বল করে সৃষ্টি করেছেন ফলে তাদের দায়িত্বকেও সহজ করেছেন।
সংসার পরিচায়নায় আয়-উপর্জন করার দায়িত্ব নারীদের ওপর চাপানো হয়নি, শুধু তা-ই নয়, জীবন ও দায়িত্বকে সহজ করার পাশাপাশি তাদের বেহেশত্ বা জান্নাতের যাওয়ার পথকেও সহজ করা হয়েছে। হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী কোনো নারীর মাঝে ৪টি গুণের সমন্বয় হলে তার জন্য জান্নাতের সুসংবাদ রয়েছে।
(১) যে নারী সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন।
(২) যে নারী তার স্বামীর অনুগত হন।
(৩) যে নারী রমজান মাসের রোজা পালন করেন। এবং
(৪) যে নারী তার লজ্জাস্থানের হেফাজত করেন। সে জান্নাতের যে কোনো দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে নারী পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, রমজান মাসে রোজা রাখে, স্বীয় লজ্জাস্থান সংরক্ষণ করে, স্বীয় স্বামীর অনুগত থাকে, কিয়ামতের দিন তাকে বলা হবে যে, জান্নাতের যে দরজা দিয়ে খুশি তুমি জান্নাতে প্রবেশ কর।’ (সহিহ ইবনে হিব্বান- হাদিস নম্বর: ৪১৬৩, সহীহ জামে আসসগীর ১ম খণ্ড হাদিস নম্বর- ৬৭৩)।