গোপনে বিয়ের পর প্রতারণা করে পালিয়ে আসা এক যুবকের বাড়িতে স্ত্রীর অধিকার আদায়ে অনশনে বসেছেন এক তরুণী। শুক্রবার (২১ এপ্রিল) বিকাল থেকে রবিবার পর্যন্ত সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার কুমিরা গ্রামে মাস্টার সমেশ দের বাড়িতে অনশন করছেন ওই তরুণী।
এদিকে স্ত্রীর দাবিতে বাড়ি যাওয়ার পর থেকে লাপাত্তা হয়েছেন সুব্রত। তিন দিন অনশন করার পর অবশেষে রবিবার স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতাদের হস্তক্ষেপে দুই পরিবারের উপস্থিতিতে স্ত্রীর স্বীকৃতি পান ওই তরুণী।
তরুণীর বাড়ি বাগেরহাট জেলার। তিনি ঢাকা ইডেন কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। অভিযুক্ত যুবক তালা উপজেলার কুমিরা এলাকার মাস্টার সমেশ দের ছেলে সুব্রত দে। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
ওই তরুণীর দাবি, পড়াশোনার সুবাদে ঢাকায় থাকার কারণে তাদের পরিচয় হয়। এই পরিচয় থেকে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মাস ছয়েক আগে প্রথমে তাদের নোটারি পাবলিক, পরে হিন্দু ধর্মমতে স্থানীয় মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করেন তারা। একপর্যায়ে সুব্রতকে সংসার করার জন্য চাপ দিলে তিনি নানা রকম টালবাহানা করতে থাকেন।
তরুণী জানান, এর আগে একবার তাকে গলাটিপে হত্যার চেষ্টা করেন সুব্রত। ওই সময় তিনি গুরুতর আহত হন। পরে পরিবারের তত্ত্বাবধানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কয়েক সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকেন। এরপর তার স্বামী সুব্রত পালিয়ে গেলে বাধ্য হয়ে স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে তাদের বাড়িতে যান। পরে রবিবার সকালে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও এলাকার ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সুব্রতের বাবা সমরেশ দে জানান, ওই মেয়ে আমাদের বাড়িতে অনাশনে বসেনি। সে ছেলের খোঁজে এসেছিল। বিষয়টি সামাজিকভাবে মিটেও গেছে। খুব শিগগিরই বৌমাকে ঘরে আনা হবে।
পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় বলেন, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। তবে এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।