ভাল জীবনসঙ্গী কে না চায়। তবে মনের মতো সঙ্গী পাওয়াটাও সহজ বিষয় নয়। সঙ্গী নির্বাচন নিয়ে অনেকেই দ্বিধায় ভোগেন। অনেকেই আবার মন মতো সঙ্গী পান না বলে দেরি করে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। এছাড়া চাকরি-ক্যারিয়ারসহ আছে আরও কত-শত বাধা। তবে একটা প্রবাদ আছে—সময়ের কাজ সময়ে করা ভাল। এ ক্ষেত্রে বিয়েই বা বাদ যাবে কেন?
কিন্তু বিয়ের সঠিক বয়স কতো? অনেকেই না জানেন না। বিয়ের সঠিক বয়স যাদের এখনো অজানা তাদের সমস্যার সমাধান মিলবে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউটাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নিকোলাস এইচ. ওলফিংগার এক গবেষণায় জানিয়েছেন, ২৮ থেকে ৩২ বছরের দম্পতিদের বিবাহ বিচ্ছেদের সম্ভাবনা কম থাকে। তাই এই সময়টি বিয়ের জন্য সুবিধাজনক সময়।
গবেষণা অনুযায়ী, ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের প্রবণতা কম থাকে। অপরদিকে ৩০ থেকে এবং ৪০ বছরের দম্পদিতের মধ্যে বিচ্ছেদের হার বেশি লক্ষ্য করা যায়। ৩২ উর্ধ্ব দম্পতিদের মধ্যে প্রতি বছর পাঁচ শতাংশ হারে বিবাহ বিচ্ছেদের সংখ্যা বাড়ছে।
দম্পতির মানসিক ও আর্থিক সক্ষমতার দিক দিয়ে গবেষণায় বলা হয়েছে ৩০ বছর বয়সে বিয়ে করা দম্পতিরা মানসিকভাবে পরিপক্ক হয়। এছাড়া তারা আর্থিকভাবেও স্বাবলম্বী হয়।
এ গেল বিবাহ বিচ্ছেদ, মানসিক ও আর্থিক সক্ষমতা সংশ্লিষ্ট কারণে বিয়ের উপযুক্ত সময় নিয়ে কথা। এবার সন্তান জন্মদানের ক্ষমতার দিক থেকে দেখলে নারীদের ক্ষেত্রে বিয়ে ২০ বছর থেকে ৩৫ বছরের করাই নিরাপদ। কেননা এই বয়সসীমা নারীদের জন্য সন্তান জন্ম দেওয়ার সর্বোৎকৃষ্ট সময়। ৩৫ উর্ধ্ব নারীদের প্রজনন ক্ষমতা কমতে থাকে। এমনকি গর্ভপাতের সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পায়।