আজ- শনিবার, ১লা এপ্রিল, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
শেরপুর টাইমস
Trulli
  • প্রচ্ছদ
  • জেলার খবর
    • শেরপুর সদর
    • নকলা
    • নালিতাবাড়ী
    • ঝিনাইগাতী
    • শ্রীবরদী
  • জাতীয় খবর
  • উন্নয়নে শেরপুর
  • খেলার খবর
  • বিনোদন
  • তথ্য ও প্রযুক্তি
  • পর্যটন
  • উদ্যোক্তা
  • ফিচার
  • অন্যান্য
    • অন্য গণমাধ্যমের খবর
    • আন্দোলন সংগ্রাম
    • ইতিহাস ঐতিহ্য
    • গণমাধ্যম
    • পাঠকের কলাম
    • শিক্ষাঙ্গণ
    • শুক্রবারের কলাম
    • সাহিত্য
  • সম্পাদকীয়
No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • জেলার খবর
    • শেরপুর সদর
    • নকলা
    • নালিতাবাড়ী
    • ঝিনাইগাতী
    • শ্রীবরদী
  • জাতীয় খবর
  • উন্নয়নে শেরপুর
  • খেলার খবর
  • বিনোদন
  • তথ্য ও প্রযুক্তি
  • পর্যটন
  • উদ্যোক্তা
  • ফিচার
  • অন্যান্য
    • অন্য গণমাধ্যমের খবর
    • আন্দোলন সংগ্রাম
    • ইতিহাস ঐতিহ্য
    • গণমাধ্যম
    • পাঠকের কলাম
    • শিক্ষাঙ্গণ
    • শুক্রবারের কলাম
    • সাহিত্য
  • সম্পাদকীয়
শেরপুর টাইমস
No Result
View All Result
প্রচ্ছদ শুক্রবারের কলাম

বিসিএসে ইঞ্জিনিয়ারিং-মেডিক্যাল বিতর্ক…

টাইমস ডেস্ক প্রকাশ করেছেন- টাইমস ডেস্ক
৪ জুলাই, ২০২০
বিভাগ- শুক্রবারের কলাম
অ- অ+
19
শেয়ার
640
দেখা হয়েছে
Share on FacebookShare on Twitter
প্রিন্ট করুন

প্রায় প্রতিবার বিসিএসের ফলাফল প্রকাশের পরে ইঞ্জিনিয়ারিং বা মেডিক্যাল বা বিশেষায়িত কোনো সাবজেক্ট থেকে পাশ করে কেন জেনারেল ক্যাডার বিশেষ করে পররাস্ট্র/এডমিন/পুলিশ এমন ক্যাডারে কেউ চান্স পেলে এ ধরণের কিছু লেখালেখি চোখে পড়ে। কিন্তু এবার ৩৮তম বিসিএস এর চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের পরে মনে হচ্ছে বিতর্কটা একটু বেশি’ই হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে আবার সরাসরি প্রশ্ন করেছেন  এমন ইঞ্জিনিয়ারিং বা মেডিক্যাল থেকে পাশ করে অন্য ক্যাডারে যাওয়াটা কতটা যৌক্তিক??? এমন প্রশ্নকারীর সংখ্যাটা যে একেবারে খুব কম বা রিমার্কাবল নয়, তা নয়। যেহেতু প্রশ্নটা এসেছে যৌক্তিক কীনা, তার পরিপ্রেক্ষিতে চেস্টা করবো ধারাবাহিকভাবে যৌক্তিক আলোচনা করতে…

১) প্রতিভা বা মেধা (ইংরেজিতে যাকে আমরা ট্যালেন্ট বলি) যে নামেই ডাকিনা কেন (যদিও সংজ্ঞাগত কিছু মৌলিক পার্থক্য আছে) সেটাকে কী কোন কিছু দিয়ে আটকে রাখা যায়? অথবা আমরা কী সেটাকে আটকে রাখার পক্ষে??? আমার মনে হয়না কেউ মানুষের এই প্রতিভা বা মেধা নামক গুণকে আটকে রাখার পক্ষে হ্যাঁ বলবে। আপনারা প্রায় সবাই এমন প্রবাদ জেনে থাকবেন হয়তো, বা না জানলেও এমন কথা বিশ্বাস করবেন নিশ্চয় যে, Talent has no boundaries বা প্রতিভার কোনও সীমানারেখা নেই।

২) আচ্ছা ধরুণ তো আপনাকে কেউ ছোটবেলায় আপনার ইচ্ছার বা আগ্রহের কথা না বিবেচনা করে বা অন্য কোনো বিকল্প অপশন না পেয়ে মাদ্রাসায় অথবা ইংলিশ মিডিয়ামে অথবা ইংরেজি ভার্সনে ভর্তি করে দিলো। একটা সময় পরে যখন আপনি বড় হয়ে নিজের সিদ্ধান্ত নিতে বা বেছে নেওয়ার সুযোগ পেলেন বা মেধার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কয়েকটি অপশনের মধ্যে থেকে যেকোনো একটি বিকল্প অপশন বেছে নেওয়ার সুযোগ পেলেন তখনো কী আপনি সেই আগের মাদ্রাসায় বা ইংলিশ মিডিয়াম অথবা ইংরেজি ভার্সনে পড়ালেখা করে যাবেন নিজের ইচ্ছায় বা মেধার মাধ্যমে পাওয়া সুযোগের ব্যবহার না করে? নাকী আপনার পছন্দটা বেছে নিবেন? অবশ্যই পছন্দের বিষয়টি বেছে নিবেন। তাহলে কেন একজন চাকুরি প্রার্থী প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ তার বুদ্ধি বিবেচনা থাকতে পূর্ব থেকে চাপিয়ে দেওয়া অপছন্দের বিষয় বা তুলনামূলক কম পছন্দের বিষয় বা পছন্দের বিষয় সে সময় সুযোগ না পেলেও পরবর্তীতে মেধা বাছাইয়ের পরীক্ষার মাধ্যমে বেছে নেওয়ার সুযোগ থাকলেও সেটা বেছে নেবে নাহ?

Advertisements

৩) হ্যাঁ, আপনি কি যুক্তি দেখাবেন তা কিছুটা হলেও আচ করতে পারছি। বলবেন তাহলে একজন শিক্ষার্থীর পেছনে রাষ্ট্রে যে ৪ বছর ইঞ্জিনিয়ারিং বা ৫ বছর মেডিক্যালে পড়ালো সেই শিক্ষা ব্যয় তো পানিতে গেল! এই জায়গাটাতেই আমরা অনেকে ভুল চিন্তা করি। কিভাবে পানিতে গেল? তাকে ইঞ্জিনিয়ারিং বা মেডিক্যালে পড়ানো মেধা কী সে অন্য ক্যাডারে বা অন্য পেশায় যাওয়ার সময় রেখে যাচ্ছে? নাকী তাকে জেনারেল কোনো বিষয় পড়াতে রাষ্ট্রের ১ টাকাও ব্যয় হতো নাহ? অবশ্যই ব্যয় হতো। তাহলে আমাদের যে একটা সাধারণ ভুল ধারণা যে তার পেছনে সরকারের অর্থ ব্যয় হচ্ছে সেটা পানিতে যাচ্ছে সেটা সঠিক নয়। হয়তো বলতে পারেন জেনারেল বিষয় পড়ালে রাস্ট্রের যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় হতো ইঞ্জিনিয়ারিং বা মেডিক্যাল বা বিশেষায়িত কোনো সাবজেক্ট পড়াতে তার চেয়ে বেশি ব্যয় হয়েছে। এ কথা আমি ফেলে দিচ্ছি নাহ। কিন্তু বিশ্ব যেখানে আগামী দুই বা তিন দশক পরে তার দেশে কি পরিমাণ ইঞ্জিনিয়ারিং বা মেডিক্যাল বিশেষায়িত কোনো সাবজেক্ট এর পেশাদার লোক লাগবে সেটা হিসেব করে সেই অনুসারে এক এক সাবজেক্টের শিক্ষার্থী সংখ্যা নির্ধারণ করে পড়ার ব্যবস্থা করে সেটা কী আমরা করতে পাড়ছি? আচ্ছা এই কমপ্লেক্স হিসেব না হয় বাদ দিলাম। আমরা কি আমাদের শিক্ষার্থীদের নবম বা একাদশ বা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির সময় তাদের Attitude বা মনোভাব অথবা তাদের যে বিশেষ দিকে ঝোঁক আছে সেই বিষয় ভর্তির সুযোগ করে দিতে পাড়ছি? যে শিক্ষার্থীর খেলাধুলার দিকে ঝোঁক তাকে আমরা এক প্রকার অভিভাবকদের ইচ্ছায় জোড় করে খেলা বাদ দিয়ে অন্য কোনো সাবজেক্টে ভর্তি করে দেই। আবার যে শিক্ষার্থীর গণিতের দিকে ঝোঁক বা পারদর্শিতা আছে কিন্তু তাকে আমরা ১ থেকে ১.৫ ঘন্টার ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলের উপড়ে তাকে গণিত থেকে ইতিহাসে ভর্তি হতে এক প্রকার বাধ্য করি। অথবা যে শিক্ষার্থী পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ সম্পর্কে জানতে ভালোবাসে কিন্তু মেডিক্যালের পরীক্ষার মাধ্যমে তাকে তার অভিভাবকগণ মেডিক্যালে ভর্তি করে দেন। তাহলে এ শিক্ষার্থী পরবর্তীতে তার অনার্স বা মাস্টার্সের সাবজেক্ট থেকে অন্য সাবজেক্টে গেলে আপনি-আমি তাকে কি দায়ী করতে পারি? কারণ সে তার ভালোলাগা বিষয় কাজ না করে অপছন্দের বিষয় কাজ করলে কোনো সময় তার ১০০% দিতে পারবে না।

৪) আচ্ছা দেশে কী এই ৭/৮ জন মেডিক্যাল পাশ করা শিক্ষার্থী বা ১০/১১ জন ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করা শিক্ষার্থী তাদের প্রফেশনাল ক্যাডারে না যাওয়ার কারণে ডাক্তারি সেবা দেওয়ার চিকিৎসকের বা ইঞ্জিনিয়ারিং কাজ করার ইঞ্জিনিয়ারের অভাব হয়ে গেছে? দেশে এখনো মেডিক্যাল থেকে পাশ করা হাজার হাজার শিক্ষার্থী বেকার আছে। প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা হাজার হাজার ইঞ্জিনিয়ার বেকার আছে। ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার যদি রাষ্ট্রের লাগে তাহলে এরা কি সেবা দেওয়ার জন্য নেই? তাহলে এই ১৫-২০ জন মূল ট্রাকের থেকে বাইরে চলে গেলে এমন রব উঠে যাওয়ার খুব কী বড় কোনো কারণ আছে? না দেশের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে? বুয়েটসহ সকল ইঞ্জিনিয়ারিং ভার্সিটির প্রায় বড় একটা সংখ্যক শিক্ষার্থীরা স্কলারশিপ নিয়ে দেশের বাইরে গিয়ে সেটল্ড হলে দোষ নাই, বিসিএস দিয়ে জেনারেল ক্যাডারে গেলেই দোষ? এই ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ারদের মেধা তো দেশেই থাকছে নাকী?  প্রতিবছর গড়ে এক/দেড় হাজার ডাক্তার স্পেশাল বিসিএসসহ ক্যাডার হচ্ছেন, এইবারও এককভাবে হেলথ আর ডেন্টাল মিলিয়ে প্রায় ৩০০ নিয়োগ হয়েছে। দলছুট হয়ে ১০/২০ জন কেন জেনারেল ক্যাডারে চলে এসেছেন! তা নিয়ে আমরা এত জাজমেন্টাল হয়ে যাচ্ছি!!!

৫) আচ্ছা ধরে নিলাম ইঞ্জিনিয়ারিং বা মেডিক্যাল বা বিশেষায়িত কোনো সাবজেক্টে পড়ে কেউ অন্য ক্যাডারে বা অন্য সার্ভিসে যেতে পারবে না। তাহলে একাউন্টিং থেকে পাশ করা শিক্ষার্থী একাউন্টিং ছেড়ে অন্য পেশায় বা ম্যানেজমেন্ট থেকে পাশ করে শিক্ষার্থী ম্যানেজমেন্ট ছেড়ে অন্য পেশায় বা শিক্ষা (Education) থেকে পাশ করা শিক্ষার্থী শিক্ষা ছেড়ে অন্য পেশায় যাবে কেন? উপর্যুক্ত বিষয়ের শিক্ষার্থীরা যখন তার নিজের প্রফেশনাল ক্যাডার ছেড়ে অন্য ক্যাডারে বা অন্য পেশায় যায় তখন তো এভাবে আমরা গেল-গেল বলে রব তুলি নাহ! আর বাংলাদেশে অনার্স লেভেলে পড়ানো শতাধিক বিষয়ের মধ্যে মাত্র ক্যাডার আছে ২৭টি। তাহলে যে বিষয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট ক্যাডার বা পেশা নেই তারা কোন ক্যাডার পাবে? কারণ আমরা তো যে-যেই সাবজেক্টের তাকে, দিয়ে সেই ক্যাডার পূর্ণ করে রেখেছি। ইঞ্জিনিয়ারিং বা মেডিক্যালে পড়ে নিজের ফিল্ড ছেড়ে অভিনয় শিল্পী হতে পারবে, গান গাইতে পারবে, ছবি আঁকার শিল্পী হতে পারবে, লেখক হতে পারবে কিন্তু অন্য ক্যাডারে গেলেই সে মস্তবড় অন্যায় করে ফেল্ল? কোথায় পেলাম আমরা এই থিউরি? আর আমাদের সংবিধানে তো রাষ্ট্রের নাগরিকের পেশা বা বৃত্তি নির্বাচনের স্বাধীনতা দিয়েছে। তাহলে আমরা যারা কে কোন পেশায় যাবে বা যাওয়া উচিত কীনা বলে প্রশ্ন রাখছি তারা কিন্তু আসলে আমাদের সংবিধান বিরোধী কথা বলছি।

৬) সাড়া পৃথিবীর একটি দেশ দেখান যেখানে শিক্ষার্থীদের সাবজেক্ট ভিত্তিক তার পেশা নির্ধারণ করে দিয়ে স্থির থাকতে পেড়েছে? যদি পৃথিবীর কোনো দেশের পক্ষেই এটি সম্ভব না হয় তাহলে বাংলাদেশের মত ছোট্ট একটি উন্নয়নশীল দেশে বর্তমানে এটি চিন্তা করা কী খুব বুদ্ধিমানের কাজ বলে বিবেচিত হবে? হ্যাঁ, যখন এ দেশটি উন্নত হবে, হিসেব করে বুঝতে পারবে আগামী ৩ দশক পরে তার কতজন বিভিন্ন পেশাভিত্তিক জনবল লাগবে তখনের জন্য এটা চিন্তা করা যেতে পারে।

৭) হ্যাঁ আপনারা এটা বলতে পারেন যে শিক্ষার্থী “শিক্ষায়” পাশ করে প্রশাসন ক্যাডারে গেল বা যে শিক্ষার্থী মেডিক্যালে পাশ করে পুলিশ ক্যাডারে গেল সে তো তার বিশেষায়িত জ্ঞান কাজে লাগাতে পারবে না। এখানেও আমরা একটা ভুল চিন্তা করি। যে শিক্ষার্থী “শিক্ষায়” পাশ করে প্রশাসন ক্যাডারে গেল সে “শিক্ষা নীতি” প্রণয়নে বরং আরো বেশি দক্ষতার সাথে ভূমিকা রাখতে পারবে। যে শিক্ষার্থী মেডিক্যাল থেকে পাশ করে পুলিশে গেল সে পুলিশের অপরাধীর শনাক্তকরণে ফরেস্নিক টেস্ট বা জেনেটিক্যাল বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অন্য একজন সাধারণ অফিসারের চেয়ে ভালো ইনপুট দিতে পারবে।

৮) পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই পেশা এক্সচেঞ্জ হয়। আমি এমন উদাহরণ দিতে পারবো শুনলে অবাক হবেন। পরিসংখ্যান থেকে আন্ডারগ্রাড ও মাস্টার্স করে পরে সাইকোলজির উপর পিএইচডি করেছেন এবং তিনি এখন স্পেশালিষ্ট হয়েছেন হিউম্যান সাইকোলজিতে। এমন অনেক উদাহরণ আছে। কেউ এক বিষয় পড়লে সেই বিষয় ব্যতীত অন্য কোনো বিষয়ে তার আগ্রহ থাকবে না এটা ভাবা আমি বোকামিই বলব।

৯) আমাদের সমাজে তো উচ্চ মাধ্যমিকের পরে কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এডমিশনে চান্স না পেলে বা ভাল সাবজেক্ট না পেলে ভুল ধারনা করে ধরে নেই যে, এ শিক্ষার্থী মেধাবী নয়। আর যারা সেই ১ থেকে ১.৫ ঘন্টার পরীক্ষায় চান্স পেয়ে যায় তাদের গায়ে আমরা মেধাবী ট্যাগ লাগিয়ে দেই! আচ্ছা এই উচ্চ মাধ্যমিকের পরে বিশ্ববিদ্যালয় এডমিশন টেস্ট মেধা যাচাই পরীক্ষা এটা আপনারা কোথায় পেলেন যে এখানে ভাল করলেই মেধাবী হয়ে গেল? আমি তো বলি এটি বরং একটি স্ক্রিনিং টেস্ট বা বাছাই করে বাদ দেওয়ার পরীক্ষা। সোজা বাংলায় বললে আমাদের আসন সংখ্যা আছে ১ লাখ আর শিক্ষার্থী আছে ১০ লাখ সেখান থেকে ৯ লাখ শিক্ষার্থীকে বাদ দেওয়ার পরীক্ষা হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিকের পরে বিশ্ববিদ্যালয় এডমিশন টেস্ট। তাই এই টেস্টের ফলাফলের উপড়ে একজন শিক্ষার্থীর পরবর্তী পেশাগত জীবন যদি সে অন্য কিছু বেছে নেয় তাহলে দোষ দেয়া যাবে না। কারণ এই ১ থেকে ১.৫ ঘন্টার পরীক্ষা তার মেধা যাচাইয়ের পরীক্ষা নয়।

১০) যদিও মেধা চর্চার ফলে প্রতিনিয়ত শাণিত হয় এবং পরিবর্তিত হয় কিন্তু চর্চা না করলে এক সময় নিঃশেষ হয়ে যায় বা ঢাকা পড়ে যায়। সরকারি সিস্টেমকে এখনো অনেকে দূর্বল ও ধীরগতির মনে করে এবং বিসিএস  জেনারেল ক্যাডারদের “মেধাহীন” বলে মনে করেন। কেউ কেউ মনে করে উগান্ডার রাজধানীর নাম বা হুন্ডুরাসের মুদ্রার নাম মুখস্থ করে বিসিএস ক্যাডার হওয়া যায়। আপনাদের যদি ধারনা এমনেই হয় তাহলে কিছু ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার না হয় কিছু মুদ্রা বা রাজধানীর নাম মুখস্থ করে হোক না ক্যাডার! নাহ, সেই দিন আর নেই। ৩৫তম বিসিএস থেকে লিখিত পরীক্ষার কারিকুলামটা একটু চোখ বুলিয়ে দেখতে পারেন। আর  এখন জেনারেল ক্যাডার সার্ভিসে (পররাষ্ট্র, প্রশাসন, পুলিশ ……) অক্সফোর্ড, হার্ভার্ড, ক্যামব্রিজ, নিউইয়ার্ক, মোনাস থেকে মাস্টার্সধারী, টপ ইউনি থেকে পিএইচডিধারী লোক আছে, আরো আসছে। আপনাদের মতে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ারগণ তো আগে থেকেই মেধার ট্যাগ পাওয়া। তাহলে সরকারি সিস্টেমকে উন্নত করতে হলে পরিবর্তন করতে হলে তো এই জেনারেল ক্যাডারগুলোতেই মেধাবীদের আরো বেশি দরকার। কেন আপনারা মনে করছেন না রাষ্ট্রের পলিসি মেকিং বা অন্য দেশের সাথে বার্গেনিং এ সবচেয়ে শাণিত মেধাবী ব্যক্তিটিকেই দরকার? আমাদের দেশের অর্থনীতির আকার বড় হয়েছে। হাজার কোটি টাকার বাজেট আসছে, নানামুখী চ্যালেঞ্জ এখন সরকারকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে তো সেই জায়গায় সরকারে শাণিত মেধার স্মার্ট ট্যালেন্টে ব্যক্তিটি যদি না থাকে তাহলে রাষ্ট্রের যে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে এই জায়গাটাই হয়তো আমরা দূরদৃষ্টি সম্পন্ন হতে পারছি না। আমরা যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধম্যে নিজেদের এমন চিন্তা ভাবনা লিখে প্রকাশ করছি তারা শুধু সাদা চোখে আমাদের সামনে যা আছে তা দেখছি, কিন্তু বৃহত্তর বিষয় দেখতে পাচ্ছি না।

১১) এখন কথা হতে পারে বছর পাঁচেক আগেও তো জেনারেল ক্যাডারে এমন বিশেষায়িত সাবজেক্টের শিক্ষার্থীদের পাওয়া যেত না। ইদানিং এমন অনেক শিক্ষার্থী পাওয়া যাচ্ছে। এর আসল কারণটা কী আমরা খোঁজার চেষ্টা করেছি? চেষ্টা করিনি। এর অনেক কারণ আছে। মোটা দাগে আমার কাছে এর ২টি বড় কারণ বিদ্যমান ক) বিসিএসে সাম্প্রতিক কালের পরীক্ষার (বিশেষ করে লিখিত পরীক্ষা) পাঠ্যক্রম বা সিলেবাস এর পরিবর্তন ও খ) বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থীদের (বিশেষ করে বিজ্ঞানের) স্বপ্ন দেখাতে ব্যর্থ হওয়া। এছাড়াও সরকারি চাকুরিতে তাদের আসার আরো অনেক কারণ আছে- বেসরকারি জবে তাদের জব সিকিউরিটি, কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ, সম্মান ও সম্মানী/স্যালারি, ছুটি সুবিধা, ঋণ সুবিধা, কর্মঘন্টাসহ আরো বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার বিষয়গুলো চাকরি প্রত্যাশীদের কথায় উঠে এসেছে।

ক) পাঠ্যক্রম এর পরিবর্তন- ৩৫তম বিসিএস থেকে সিলেবাস পরিবর্তন করে  গণিত ও বিজ্ঞানে ৫০ নম্বর করে মোট ১০০ থেকে, গণিত ও বিজ্ঞানে ১০০ করে মোট ২০০ নম্বর করা হয়েছে। যেহেতু গণিত ও বিজ্ঞানে নম্বর বাড়ানো হয়েছে সেহেতু এই গণিত ও বিজ্ঞানে বিজ্ঞান গ্রুপের শিক্ষার্থীদের তুলনামূলকভাবে বাণিজ্য ও কলা গ্রুপের শিক্ষার্থীদের থেকে নম্বর বেশি পাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। (যদিও এ নিয়ে ৩৫ তম বিসিএস থেকে কোনো গবেষণা আছে কিনা তা আমার জানা নেই। নিতান্ত’ই ধারনা থেকে বলা) ধরে নেই যেখানে বিজ্ঞানের ১ জন পরীক্ষার্থী যথাক্রমে ৮০%+৭০% নম্বর পেয়ে ২০০ নম্বরে মোট ১৫০ নম্বর পায় সেখানে বাণিজ্য ও কলা গ্রুপের ১ জন শিক্ষার্থী ২০০ নম্বরে ১০০ থেকে ১১০ নম্বর পাওয়াই খুব কঠিন হয়ে যায়। এই যে পার্থক্য ১৫০-১১০=৪০ নম্বর নম্বরের ব্যবধান এটা কোনভাবেই বাণিজ্য ও কলা গ্রুপের শিক্ষার্থী বেক আপ দিতে পারে না। আর এ কারণেই অন্ততপক্ষে যারা উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত বিজ্ঞান গ্রুপে পড়েছে তারা তুলনামূলক ভাল ফলাফল করছে বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায়। আর সেকারণেই ইঞ্জিনিয়ারিং বা মেডিক্যাল এর শিক্ষার্থীরা বর্তমানে বিসিএসে তুলনামূলকভাবে ভাল করছে আর তার প্রভাব পড়ছে বিশেষ করে জেনারেল ক্যাডারে।

খ) শিক্ষার্থীদের বিসিএসের দিকে ঝোঁকার আরেকটি সাইকোলজিক্যাল বড় কারণ হলো বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন দেখাতে ব্যর্থ হওয়া। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে প্রথম বর্ষ থেকেই এমন কোনো শিক্ষার্থী পাওয়া যাবে না যাদের কাছে সাধারণ জ্ঞানের বইসহ বিসিএসের বই পাওয়া যাবে না। কিন্তু ১০ বছর আগেও এমনটা ছিল না। ১ম থেকে ৩য় বর্ষ পর্যন্ত অনেক শিক্ষার্থী’ই নিজের বিভাগে ভাল ফলাফল করে কেউ শিক্ষক হবে, কেউ বিদেশে স্কলারশিপ নিয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নিতে যাবে এমন স্বপ্নে বিভোর থাকতো। আর বিভিন্ন কারণে যদি কেউ এই লক্ষ্য থেকে স্লিপ কেটে যেত তাহলে সে তখন বিসিএসসহ অন্যান্য চাকুরির চিন্তা করতো। এরপরে ৩য় বর্ষের শেষে পাশ করে একটা চাকরি করতে হবে বলে তখন চাকরির পড়া নিয়ে কিছুটা সিরিয়াস হতে দেখা যেত। কিন্তু আজকে যে বিভাগেই পড়ুক প্রথম বর্ষ থেকে বিসিএস নিয়ে সবাই বসে যাচ্ছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কেন এমন হচ্ছে। কারণ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের কোন স্বপ্ন দেখাতে পারছে না। ব্যতিক্রম কিছু ভালো শিক্ষক আছে কিন্তু তারা শিক্ষার্থীদের টানতে পাড়ছে না। বেশিভাগ শিক্ষকদের চিন্তা হচ্ছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, সান্ধ্যকালীয় ক্লাস, বিভিন্ন প্রজেক্টে কাজ করে বা কনসালটেন্সি করে কিভাবে কিছু টাকা উপার্জন করা যায় সেই দিকে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আলোচনা জুড়ে ছাত্ররা থাকে না, থাকে বেতন, বোনাস-ফ্ল্যাট-শিক্ষক রাজনীতি। শিক্ষার্থীদের সার্বিক উন্নয়ন, তাদের সমস্যা, তাদের পাঠ্যক্রমকে আধুনিক করা ইত্যাদি নিয়ে আমি খুব কম শিক্ষককে কথা বলা তো দুরের কথা, খুব কম শিক্ষককে আমি চিন্তা করতে দেখেছি। তাহলে শিক্ষার্থীরা, বিশেষ করে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা বিসিএস নামক পরীক্ষায় ভাল নম্বর পেয়ে কেন চাকরির দিকে ধাবিত হবে না? আর এ কারণেই মেডিক্যাল বা ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে পাশ করে বর্তমানে উচ্চ শিক্ষা বা গবেষণার দিকে কম ঝুঁকে বিসিএসের দিকে ঝুঁকছে শিক্ষার্থীরা। তবে আমাদের এই বড় সমস্যাটার জন্য শিক্ষক বা শিক্ষার্থী কাউকে এককভাবে  দায়ী করাটা ঠিক হবে না। বরং সারা বিশ্বের মত পেশা এক্সচেঞ্জকে মেনে নিয়ে এটাকেই আরো বেশি করে পজেটিভলি ব্যবহার করতে হবে।

মো. মোস্তাফিজুর রহমান শাওন

সহকারী সচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়

সংযুক্তিতে শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়, কক্সবাজার।

Share8Tweet5
আগের খবর

দুই সেতু উদ্বোধন করতে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দিলেন হুইপ আতিক!

পরবর্তী খবর

ঝিনাইগাতী মহিলা আদর্শ ডিগ্রি কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ

এই রকম আরো খবর

কিয়ামতের দিন আরশের ছায়ায় জায়গা পাবেন যারা
শুক্রবারের কলাম

কিয়ামতের দিন আরশের ছায়ায় জায়গা পাবেন যারা

৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
রাসূল (সা.)-এর সময়ে বাজার বসতো যে স্থানে
শুক্রবারের কলাম

রাসূল (সা.)-এর সময়ে বাজার বসতো যে স্থানে

৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
যে কোন কাজে পরস্পর পরামর্শ করার গুরুত্ব
শুক্রবারের কলাম

গীবত হারাম ও কবিরা গুনাহ

২৫ নভেম্বর, ২০২২
কোথায় আলহামদুলিল্লাহ ও কোথায় ইনশাআল্লাহ বলতে হয়
শুক্রবারের কলাম

শুক্রবারের বিশেষ মুহূর্ত, যখন দোআ করলে আল্লাহ তাআ’লা ফিরিয়ে দেন না

১১ নভেম্বর, ২০২২
যে কোন কাজে পরস্পর পরামর্শ করার গুরুত্ব
শুক্রবারের কলাম

যে কোন কাজে পরস্পর পরামর্শ করার গুরুত্ব

৪ নভেম্বর, ২০২২
মসজিদে প্রবেশ করেই যে নামাজ পড়তে বলেছেন নবী (সা.)
শুক্রবারের কলাম

মসজিদে প্রবেশ করেই যে নামাজ পড়তে বলেছেন নবী (সা.)

২৮ অক্টোবর, ২০২২
আরও দেখুন
পরবর্তী খবর
ঝিনাইগাতী মহিলা আদর্শ ডিগ্রি কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ

ঝিনাইগাতী মহিলা আদর্শ ডিগ্রি কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ

সুলতানকে দেখতে জনতার ভীড়, দাম হাঁকানো হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা

সুলতানকে দেখতে জনতার ভীড়, দাম হাঁকানো হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা

আজ ঐতিহাসিক কাটাখালী গণহত্যা দিবস

আজ ঐতিহাসিক কাটাখালী গণহত্যা দিবস

আরও বিভাগ দেখুন

এই রকম আরও খবর

সংক্ষিপ্ত জীবনী – ড. আতিউর রহমানঃ বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর

সংক্ষিপ্ত জীবনী – ড. আতিউর রহমানঃ বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর

১৮ নভেম্বর, ২০১৭
শেরপুরে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা

শেরপুরে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা

১৬ মার্চ, ২০২০
নড়াইলে সাম্প্রদায়িক হামলার শেরপুর ওয়ার্কার্স পার্টির বিচার দাবী

নড়াইলে সাম্প্রদায়িক হামলার শেরপুর ওয়ার্কার্স পার্টির বিচার দাবী

১৭ জুলাই, ২০২২
নকলায় দূর্গোৎসব উপলক্ষে নিরাপত্তা বিষয়ক মতবিনিময়সভা

নকলায় দূর্গোৎসব উপলক্ষে নিরাপত্তা বিষয়ক মতবিনিময়সভা

৬ অক্টোবর, ২০১৮
শ্রীবরদীতে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে সচেতনতা ও মতবিনিময় সভা

শ্রীবরদীতে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে সচেতনতা ও মতবিনিময় সভা

৯ আগস্ট, ২০১৮
শেরপুর টাইমস

প্রকাশক : আনিসুর রহমান, সম্পাদক : এস এ শাহরিয়ার মিল্টন, বার্তা সম্পাদক : এম. সুরুজ্জামান। খরমপুর, শেরপুর শহর, শেরপুর হতে টাইমস্ মিডিয়া কর্তৃক প্রকাশিত।

যোগাযোগ : 01711-664217 (সম্পাদক), 01740-588988 (নির্বাহী সম্পাদক), 01712-478862 (বার্তা সম্পাদক)। ইমেইল : news@sherpurtimes.com

© 2022 SherpurTimes - কারিগরি সহযোগিতায় ইকেয়ার সলিউশন.

No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • জেলার খবর
    • শেরপুর সদর
    • নকলা
    • নালিতাবাড়ী
    • ঝিনাইগাতী
    • শ্রীবরদী
  • জাতীয় খবর
  • উন্নয়নে শেরপুর
  • খেলার খবর
  • বিনোদন
  • তথ্য ও প্রযুক্তি
  • পর্যটন
  • উদ্যোক্তা
  • ফিচার
  • অন্যান্য
    • অন্য গণমাধ্যমের খবর
    • আন্দোলন সংগ্রাম
    • ইতিহাস ঐতিহ্য
    • গণমাধ্যম
    • পাঠকের কলাম
    • শিক্ষাঙ্গণ
    • শুক্রবারের কলাম
    • সাহিত্য
  • সম্পাদকীয়

© 2022 SherpurTimes - কারিগরি সহযোগিতায় ইকেয়ার সলিউশন.