হালের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। ভিন্ন সব চরিত্রে তাকে দর্শক আবিষ্কার করছেন প্রতিনিয়তই। একের পর এক নাটক-বিজ্ঞাপনের কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। সম্প্রতি ফেসবুক দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি পর্ন ভিডিও, যা মেহজাবীনের নামে ছড়াচ্ছেন একদল অসাধু ব্যক্তিরা। বিষয়টি নিয়ে বিব্রত মেহজাবীন ও তার পরিবার। কাজ ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে মুখোমুখি হয়েছেন এই অভিনেত্রী।
শুরুতে কাজের খবর জানতে চাই–
এখন আপাতত বিশ্রামে আছি। আগামী ২০ তারিখ থেকে কাজ শুরু করবো। প্রথমে মিজানুর রহমান আরিয়ানের ‘স্বার্থপর’ নাটকের কাজ করবো। এতে আমার বিপরীতে অভিনয় করবেন অপূর্ব। এরপর আরও কিছু নাটকের কাজ করার কথা আছে। চলতি মাসের শেষে লেমন হোয়াইট ডিটারজেন্ট পাউডারের একটি বিজ্ঞাপনের কাজ করবো। এটি নির্মাণ করবেন নাফিস রেজা।
আপনাকে একক নাটকেই দেখা যায়। ধারাবাহিক নাটকগুলোতে খুব একটা দেখা যায় না। এর কারণ কী?
সিঙ্গেল নাটকের ব্যস্ততাই তো বেশি। অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, ইউটিউব চ্যানেলের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণে এখন সিঙ্গেল নাটকই বেশি হচ্ছে। তো একক নাটকের সংখ্যাই এখন অনেক বেশি। এককের কাজ করেই তো শেষ করা যায় না। তাছাড়া সিঙ্গেল নাটকের কাজ করতেই আমার বেশি ভালো লাগে। তাই একক নাটকের কাজই করা হয়।
সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এখন অনেকে ওয়েব সিরিজে কাজ করছে। আপনি শুরু করছেন কবে?
আসলে সিরিজ বা সিরিয়াল করতে খুব একটা পছন্দ হয় না বলে এখনও পর্যন্ত কাজ করা হয়নি। তবে যদি ভালো কিছু হয়, ৪-৫ কিংবা ৬-৭ পর্ব তাহলে করবো। আর সবার আগে গল্প ও চরিত্রটি মনের মতো হতে হবে। তাছাড়া সবাই জানেন, আমি কাজের বিষয়ে খুবই খুঁতখুঁতে। পছন্দ না হলে সে কাজের আশপাশ দিয়েও হাঁটি না।
এবার ভিন্ন প্রসঙ্গ, গতকাল থেকে একটি পর্ন ভিডিও ভাইরাল হয়েছে নেট দুনিয়ায়। যার সঙ্গে আপনার নামটিও ছড়ানো হচ্ছে…
এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলতেও…। এমন একটি বিষয়ের সঙ্গে আমাকে জড়ানো হবে, আমি কল্পনাও করিনি। বিষয়টি বুঝে ওঠার আগেই নেটে ছড়িয়ে গেছে। কাকে দোষ দেব, কাউকেই তো আমি খুঁজে পাচ্ছি না। আসলে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগে, আমরা এখন দোষারোপ করতে বেশি পছন্দ করি। আমার কাছেও বিষয়টি আশ্চর্য লেগেছে, মানুষ সত্য-মিথ্যা বা সঠিকটি জানার আগে আমার নামে আজে-বাজে মন্তব্য করছে। কিন্তু তারা একবারও ভেবে দেখলো না বিষয়টি কি? আর কি ধরনের একটি বিষয়ের সঙ্গে আমাকে জড়ানো হচ্ছে। সবার উদ্দেশ্যে বলবো, আমরা এখন ২০১৯-এ। কোন জিনিস ফেইক বা ফটোশপ করা, তা এখন বের করা কোনো ব্যাপার না। শুধুমাত্র একটু বুদ্ধি খাটালেই হয়। একটু বুদ্ধি খাটালেই সত্য-মিথ্যা বের হয়ে আসে। গুজব ছাড়ানোটাও এক ধরনের অপরাধ। কখনো কোনো জিনিস দেখলে বা শুনলে, তা আগে শিউর হওয়া উচিৎ। না জেনে, না বুঝে গুজব ছড়াবেন না।
আপনি বিষয়টি কখন জেনেছেন?
গতকাল কাছের কয়েকজন বিষয়টি আমাকে জানায়। এমন পরিস্থিতিতে কি করবো বুঝে উঠতে পারিনি। এরপর বিষয়টি নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সাইবার ক্রাইম ডিপার্টমেন্টের সাহায্য নিই। তাদেরকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করি। তারা বিষয়টি দেখছেন।