ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ খেলতে আসার আগে একের পর এক বিতর্কে নাম উঠেছে তার। এমনকি দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ক্লাবহীন অবস্থায় জাতীয় দলের নেতৃত্ব দেওয়ার মতো অদ্ভুত রেকর্ডেও নাম লিখিয়েছেন তিনি।
কিন্তু আসল লড়াইয়ে মাঠে নেমে সব বিতর্ক পেছনে ফেলে নতুন এক ইতিহাস গড়লেন পর্তুগিজ উইঙ্গার।
ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে পাঁচ বিশ্বকাপে গোল করার অনন্য কীর্তির মালিক এখন রোনালদো। এর আগে ২০০৬, ২০১০, ২০১৪ এবং ২০১৮ বিশ্বকাপের গোল করেছিলেন তিনি। এর মধ্যে ২০১৮ বিশ্বকাপেই করেছিলেন ৪ গোল। সবমিলিয়ে বিশ্বকাপে মোট ৮ গোল হলো তার। এতদিন পেলে, মিরোস্লাভ ক্লোসা, উয়ি সিলার ও লিওনেল মেসির চারটি আসরে গোল করার রেকর্ডে পাশে ছিলেন রোনালদো। এবার তাদের ছাড়িয়ে গেলেন তিনি।
২০২২ বিশ্বকাপের গ্রুপ ‘এইচ’-এর ম্যাচে আজ ঘানার মুখোমুখি হয়েছে পর্তুগাল। সেই সঙ্গে রোনালদোর শেষের শুরুটাও হয়ে গেল। ম্যাচের শুরু থেকেই বেশ কয়েকবার ঝলক দেখিয়েছেন তিনি। তবে প্রথমার্ধে জালের খোঁজ না পেলেও দ্বিতীয়ার্ধে ঠিকই লক্ষ্যভেদ করেছেন পর্তুগিজ অধিনায়ক।
ম্যাচের ৬৫তম মিনিটে ঘানার বক্সে ঢুকে পড়লেও ফাউলের শিকার হন রোনালদো। তাকে ফেলে দেন ঘানার ডিফেন্ডার সালিসু। সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। আর স্পট কিক থেকে বুলেটগতির শটে বল জালে জড়ান রোনালদো। এ নিয়ে টানা পাঁচ বিশ্বকাপে গোল করলেন তিনি।
শুধু কি তাই, বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি বয়সে গোল করার রেকর্ডে দ্বিতীয় স্থানে নাম লিখিয়েছেন রোনালদো। ঘানার বিপক্ষে ম্যাচটি খেলার সময় তার বয়স ৩৭ বছর ২৯২ দিন। তার চেয়ে বেশি বয়সে গোল করার কীর্তিটি ক্যামেরুনের কিংবদন্তি রজার মিলার (৪২ বছর ৩৯ দিন) দখলে।
এছাড়া তিনটি ভিন্ন বিশ্বকাপে পেনাল্টি থেকে গোল করার রেকর্ডও গড়েছেন রোনালদো। তার কীর্তির এখানেই শেষ নয়। পর্তুগালের সবচেয়ে কম ও বেশি বয়সে গোল করার রেকর্ডও রোনালদোর দখলে। সব দল মিলিয়ে যা তৃতীয় কীর্তি। একই কীর্তি আছে ক্রোয়েশিয়ার ইভিকা ওলিচ এবং ডেনমার্কের মিকেল লাউড্রাপের দখলে।