নাঈম ইসলাম: যাত্রাপালা বা নাটক আবহমানকাল থেকে গ্রামের মানুষকে আনন্দ-বিনোদন দিয়ে আসছে। তখন বিনোদনের খোরাক ছিল যাত্রাপালা। যাত্রাপালা লোকসাহিত্যের একটি বিরাট অংশ নিয়ে বিরাজমান। উত্তরবঙ্গের যাত্রাপালা মনে নাড়া দিয়ে যায়। যাত্রাপালার মধ্যে খাইরুন সুন্দরী, নসিমন, রসিয়া সুন্দরী, রূপবান, কাশেম মালার প্রেমসহ অসংখ্য পালা রয়েছে।
কালের আবর্তনে আকাশ সংস্কৃতির প্রভাবে মানুষেরা আধুনিক টিভি, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ব্যবহার করে এসব যাত্রাপালার পরিবর্তে দেশি-বিদেশি সিনেমা-নাটক দেখেন। গভীর রাত জেগে শীতের রাতে যাত্রাপালা দেখার কী যে মজা, তা এখন বলে বুঝানো যাবে না। আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়ায় দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী যাত্রাপালা। সেসময় বিনোদনের অন্যতম উৎসই ছিল এ যাত্রা।
সম্প্রতি শ্রীবরদী উপজেলার দক্ষিণ লংগরপাড়ায় গ্রাম্য নাটক দেখতে আসা সৃষ্টি হিউম্যান রাইটস সোসাইটির শেরপুর জেলা শাখার সভাপতি আলমগীর আল-আমিন হারুন বলেন, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যেবাহী যাত্রাপালা অনেক আগের মতো আর দেখা যায় না পথে প্রান্তরে। আগে হাট-বাজারে, গ্রামে-গঞ্জে শীতকালে দেখা যেতো ঐতিহ্যেবাহী গ্রামীণ পালা। কালের পরিবর্তনে এখন দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে এসব লোকসংস্কৃতি।