গ্রিসে বিধ্বস্ত হওয়া কার্গো বিমানটি সাড়ে ১১ টন অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে আসছিল। শনিবার সার্বিয়া থেকে জর্ডান যাওয়ার পথে কার্গো বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। বিশাল কার্গো প্লেনে ক্রুসহ আটজন আরোহী ছিলেন।
রোববার সার্বিয়ার কর্তৃপক্ষ রয়টার্সকে এই উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, গ্রিসের উত্তরাঞ্চলের কাভালা শহরে বিধ্বস্ত ওই কার্গো উড়োজাহাজের ৮ ক্রুর সবাই মারা গেছেন।
সার্বিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী নেবোজা স্টেফানোভিচ বলেছেন, কার্গো বিমানটি সাড়ে ১১ টন সার্বিয়ার তৈরি অস্ত্র বাংলাদেশে নিয়ে যাচ্ছিল।
ঢাকার চূড়ান্ত গন্তব্যে পৌঁছানোর আগে এটি জর্ডান, সৌদি আরব ও ভারতে যাত্রাবিরতি করার কথা ছিল।
সার্বিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, সার্বিয়ার প্রতিরক্ষা কারখানায় তৈরি সাড়ে ১১ টন পণ্য পরিবহন করছিল উড়োজাহাজটি। আর এই পণ্যের ক্রেতা ছিল বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
গ্রিসের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম টিভি ইআরটি জানিয়েছে, ইউক্রেনভিত্তিক এয়ারলাইন দ্বারা পরিচালিত আন্তোনভ অ্যান-১২ কার্গো বিমানটি সার্বিয়া থেকে জর্ডান যাচ্ছিল।
ইঞ্জিনে সমস্যার কারণে পাইলট জরুরি অবতরণের অনুরোধ করছিলেন; কিন্তু বিমানের সিগন্যাল হারিয়ে ফেলে।
ইঞ্জিনের ত্রুটি দেখা দেওয়ায় পাইলট কাভালা বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের অনুরোধ করেছিলেন, কিন্তু রানওয়েতে আর পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।
সার্বিয়ার এই প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটি সার্বিয়ার কোম্পানি ভ্যালির মালিকানাধীন ছিল। কোম্পানিটি সামরিক সরঞ্জাম এবং অন্যান্য প্রতিরক্ষা পণ্যের বৈদেশিক বাণিজ্যিক কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য নিবন্ধিত একটি বাণিজ্যিক সংস্থা।
সার্বিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী নেবোজসা স্টেফানোভিচ জানিয়েছেন, জর্ডান, সৌদি আরব ও ভারত হয়ে এই বিমানের ঢাকায় পৌঁছানোর কথা ছিল।
এদিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সার্বিয়া থেকে যাত্রা করার পর গ্রিসে বিধ্বস্ত কার্গো বিমানটির বাংলাদেশে পৌঁছানোর কথা ছিল সোমবার। ১৮ জুলাই দুপুর ১২টায় শাহজালালে অবতরণের কথা ছিল বিমানটির।
গ্রিসের যে এলাকায় উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়েছে, শনিবার রাত থেকে বিস্তৃত সেই এলাকা ঘিরে রেখেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের বাড়িঘরের দরজা ও জানালা বন্ধ এবং দুর্ঘটনাকবলিত এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।