শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার তাতিহাটি ইউনিয়নের ২৭নং শালমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বিপদজনক পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি। একটু ভারি বাতাস হলেই ঘটতে পারে বড় ধরণের দূর্ঘটনা। এ খুঁটির জন্য বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা থাকে সব সময় আতঙ্কে। সম্প্রতি পল্লী বিদ্যুৎ অফিসকে বার বার অবগত করলেও কর্তৃপক্ষের এখনো কোনো নজরে আসে নাই বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার তাতিহাটি ইউনিয়নের শালমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠেই পল্লী বিদ্যুতের ওই খুঁটি দিয়ে ১১ হাজার ভোল্টেজ বিদ্যুৎ লাইন পরিবাহিত হচ্ছে। আবার এই মাঠেই ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা ও দৌড়াদৌড়ি করছে। জম দুতের মতো দাড়িয়ে থাকা বিদ্যুতের খুঁটি, একটু ভারি বাতাস হলেই ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। এতে আতঙ্কে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক। ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আঞ্জুমান, কনিকা, সেতুসহ অনেক শিক্ষার্থী বলেন, পল্লী বিদ্যুতের খুঁটির কারণে দূর্ঘটনার ভয়ে তাদের সবসময় আতংকিত থাকতে হয়। মাঠে তারা ঠিকমত খেলাধুলা করতে পারে না। কখন জানি খুঁটি পড়ে যায়।
তাতিহাটি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য লুৎফর রহমান জানান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ সবসময় আতঙ্কের মধ্যে থাকে। যেকোন সময় বিদ্যুতের খুঁটি থেকে তাড় ছিড়ে বড়ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ বিষয়ে আমরা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি কোনই কাজে আসে নাই।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আঃ জব্বার বলেন, বৈদ্যুতিক খুঁটির জন্য বিদ্যালয়ের নতুন ভবন ও বাউন্ডারি নির্মাণ করাও যাচ্ছে না। পল্লী বিদ্যুৎ অফিসকে বার বার অবগত করলেও কর্তৃপক্ষ এখনো কোনো নজরে নেয়নি। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাইফুন্নাহার বলেন, আমি এখানে নতুন যোগদান করেছি। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।
শ্রীবরদী উপজেলা পল্লী বিদ্যুতের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রাশিদ বলেন, আমি এখানে নতুন যোগদান করেছি। সরেজমিনে গিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিবো।