বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সেই প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুনকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। রোববার (৯ এপ্রিল) তাকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে (মাউশি) বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে সংযুক্ত করা হয়। মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে মেয়ের সহপাঠীর মাকে প্রকাশ্যে মাফ চাইতে বাধ্য করার অভিযোগে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রুবাইয়া ইয়াসমিনকে প্রত্যাহার করে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়।
বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জানায়, ওই বিচারকের মেয়ে তাদের স্কুলে পড়তো। শিক্ষকদের নির্দেশে প্রতিদিন পালা করে শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দেয় শিক্ষার্থীরা। কিন্তু ওই শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দেবে না বলে জানায়। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আপত্তি তোলে। এটা নিয়ে ফেসবুকে পাল্টাপাল্টি পোস্ট দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই নারী বিচারক বিদ্যালয়ে এসে মেয়ের সহপাঠীর অভিভাবককে মাফ চাইতে বাধ্য করার ঘটনা ঘটান বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে।
শিক্ষার্থীদের দাবি, বিচারকের পক্ষ নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুন। তাছাড়া তার নির্দেশে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বিনা নোটিশে ডেকে এনে অপমান করেন একজন শ্রেণিশিক্ষক। ঘটনার সময় আরও দুজন শিক্ষক বিচারকের পক্ষ নিয়ে শিক্ষার্থীদের ভয়ভীতি দেখান বলে অভিযোগ ওঠে।
এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তিন দফা সড়ক অবরোধ করে। একপর্যায়ে জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বিদ্যালয়ে গিয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের ঘোষণা দিলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করে।