শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) এর গুলিতে নিহত যুবক আশরাফ আলীর (২৫) লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহত আশরাফ আলী উপজেলার পাইকুড়া গ্রামের মো. চাঁন মিয়া মুন্সির ছেলে। শুক্রবার (৬ অক্টোবর) বিকেল ২টায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ১১০১ (৭এস) নোম্যান্স ল্যান্ড দিয়ে ভারতীয় বিএসএফ নকসি সীমান্ত ফাঁড়ির বিজিবি’র নিকট লাশটি হস্তান্তর করা হয়।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ১১০১ (৭এস) নম্বর পিলারের নোম্যান্স ল্যান্ডে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের তুরা জেলার কুচ্ছুয়া আদকগ্রী ক্যাম্পের বিএসএফ কর্তৃপক্ষ বিজিবির নিকট আশরাফের লাশ হস্তান্তর করেন। পরে লাশটি ঝিনাইগাতী থানা পুলিশের মাধ্যমে তাঁর পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়। এ সময় নকশী সীমান্ত ফাঁড়ির কোম্পানি কমান্ডার নায়েব সুবেদার মো. নুরুল ইসলাম, বিএসএফ, হালচাটি ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার এল. মারাক, ঝিনাইগাতী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সাজেদুল ইসলামসহ মৃত আশরাফের আত্মীয়-স্বজন উপস্থিত ছিলেন।
বিজিবি ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার দুপুরে আশরাফ আলী তাঁর পাইকুড়া গ্রামের বাড়ি হতে গারো পাহাড়ের নকশী গ্রামে বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে যান। এখান থেকে তিনি গজনী অবকাশ কেন্দ্র এলাকার বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ১১০১ (৭এস) নম্বর পিলারের নোম্যান্স ল্যান্ড এলাকায় চলে যাওয়ার পর তার আর কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার বিজিবিকে এ ব্যাপারে অবহিত করলে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সাথে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আশরাফের নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত হন।
এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী থানার ওসি (তদন্ত) মো. আব্দুল কাদের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মেঘালয় রাজ্যের একটি হাসপাতালে আশরাফের লাশের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট গুলির আঘাতের বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। লাশটি তার পরিবারের নিকট হয়েছে।
শেরপুর টাইমস/ বা.স