চাঁদপুরে এনআই এ্যাক্টের পৃথক দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ডা. মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ সাগরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে তোলা হলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুল ইসলাম।
কারাগারে যাওয়া ডা. মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ সাগর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক। চাঁদপুর শহরে অবস্থিত বেলভিউ হাসপাতালের পরিচালক এবং বিএমএ চাঁদপুরের সাবেক সভাপতি। তিনি ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের মদনেরগাঁও গ্রামের ভুঁইয়া বাড়ির মৃত মোহাম্মদ কলিম উল্লাহর ছেলে।
পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, চাঁদপুরের চান্দ্রা শিক্ষিত বেকার যুব বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড এর কাছ থেকে ডা. হারুনুর রশিদ সাগর ৩৬ কিস্তিতে ৩ বছর মেয়াদে ১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ঋণ নেন। নির্ধারিত সময় ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় এবং তার প্রদেয় চেক ব্যাংকে ডিজঅনার হওয়ায় আদালতে মামলা হয়। প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মামলাটি করেন মো. নুরু মিয়া শেখ। মামলায় আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চাঁদপুরের যুগ্ম দায়রা জজ (প্রথম আদালত) এর বিচারক সাইয়েদ মাহবুবুল ইসলাম চলতি মাসের ৫ তারিখে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও মামলায় বর্ণিত চেকের ২ কোটি টাকার অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। ওই রায়ে উল্লেখ করা হয় অর্থদণ্ডের টাকা অভিযোগকারী পাবেন।
এছাড়াও ডা. হারুনুর রশিদ সাগর চাঁদপুর শহরের গুনরাজদী এলাকার মো. শাহ আলম নামে ব্যক্তির কাছ থেকে ব্যবসার নাম করে নগদ সাড়ে ১১ লাখ টাকা নেন। তার টাকা সঠিক সময়ে পরিশোধ না করায় ওই ব্যাক্তি এনআই এ্যাক্টের ১৩৮ ধারায় মামলা করেন। এই মামলায়ও চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি একই বিচারক আসামি ডা. হারুনুর রশিদ সাগরের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৬ মাসের বিনাশ্রম ও সাড়ে ১১ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন। ওই রায়ে উল্লেখ করা হয় অর্থদণ্ডের টাকা অভিযোগকারী পাবেন।
ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, চাঁদপুর শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের বাসা থেকে সদর মডেল থানার সহযোগিতায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে এনআই এ্ক্টেোর ৬ মাসের ও ১ বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দুটি ওয়ারেন্ট ছিল। ওই ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে তাকে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে তাকে চাঁদপুর আদালতে পাঠানো হয়।