বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে তাদের সঙ্গে আলোচনা বা বিশেষ কোনো উদ্যোগের সম্ভাবনা নাকচ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি এবার ‘নাকে খত দিয়ে’ নির্বাচনে আসবে। কম্বোডিয়া সফর সম্পর্কে জানাতে বৃহস্পতিবার গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আগাম নির্বাচনের ব্যাপারে সরকারের অবস্থান জানতে চাওয়া হলে শেখ হাসিনা বলেন, পার্লামেন্টারি সিস্টেমে যে কোনো সময় নির্বাচন দেয়া যায়। তবে এমন কোনো দৈন্যদশায় পড়িনি, বা সমস্যায় পড়িনি যে, এখনই নির্বাচন দিতে হবে। তবে আমাদের উন্নয়নের ধারা আমরা অব্যাহত রেখেছি। উন্নয়নের কাজগুলো আমরা দ্রুত এগিয়ে নিতে চাই। বিএনপি চেয়ারপাসন খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমা করে দেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন রাখলে জবাবে সরকারপ্রধান বলেন, উনি কি ক্ষমা করেছেন, না চেয়েছেন- এ ক্ষমার বিষয়টি স্পষ্ট নয়। তার উচিত দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়া। কিবরিয়াসহ অনেককে হত্যা করা হয়েছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আমি বেঁচে গিয়েছিলাম, এ জন্য আমাকে ক্ষমা করেছেন? তিনি আরও বলেন, খালেদার বিরুদ্ধে যে মামলা তা আমাদের সরকার দেয়নি। বরং আমার বিরুদ্ধে তো এক ডজন মামলা দিয়েছে। আর যারা মামলা দিয়েছে মঈন উদ্দিন, ফখরুদ্দিন তাদের নিজেদের লোক। শেখ হাসিনা বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার কারা। সবাই উনার লোক। নয়জনকে টপকে সেনাপ্রধান করা হয়েছিল মঈন উদ্দিন আহমেদকে, বিশ্ব ব্যাংক থেকে ফখরুদ্দীনকে এনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর করা হয়। আর ইয়াজউদ্দিনতো ওনার ইয়েস উদ্দিন। সবগুলো ওই আমলের মামলা। কোর্টে যাওয়া নিয়ে খালেদা জিয়া তাণ্ডব করেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মামলা থেকে তার পলায়নপর নীতি আপনারা দেখেছেন। কোর্টে যাওয়া নিয়েও তাণ্ডব হয়েছে। এর আগে আওয়ামী লীগের এমপির গাড়ি ভাঙচুর করেছে, আগুন দিয়েছে। আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন ও প্রার্থী দেওয়া না দেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উত্তর একটাই সব ফুল ফুটতে দিন। অনেকে প্রার্থী হতে চান, ভালো কথা। এটা তাদের রাজনৈতিক অধিকার। কেন সবাই প্রার্থী হতে পারবেন না? শত ফুল ফুটবে। হোক না। শত ফুলের মধ্যে যেটা ভালো সব থেকে সুন্দর ফুল সেটা আমরা বেছে নেবো। এর আগে আনুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে কম্বোডিয়া সফরে বেশ কিছু চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে এবং সেখানে একটি সড়ক বঙ্গবন্ধুর নামে করা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।