ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আইনী জটিলতা নিয়ে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি কিংবা বাম দলের কেউ পরিস্কার নয়। এই নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে একটা উদ্বিগ্ন আছে। এখানে আইনগত ভাবে কোনো বাধাঁ হয় কী না? আইনী জটিলতার কারণে নির্বাচন যদি না হয় এটা খুবই অনাকাঙ্খিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনে টক শো’তে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।
রোববার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের ‘আজকের বাংলাদেশ’ টক শো’তে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ এ এসব কথা বলেন। টক শো’র আলোচনার বিষয় ছিলো ‘উত্তরের হাওয়া’। এই টক শো’তে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠিকন সম্পাদক আহমদ হোসেন।বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান, গণতান্ত্রিক বামমোর্চা দলের সমন্বয় ও বিল্পবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। উপস্থাপনায় ছিলেন জাহিদ হোসেন।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেন, রংপুর আমি ঘুরে এসেছি। সেখানে আমি বিএনপির নেতাদের সাথে একই হোটেলে ছিলাম। তারা তাদের টেবিলে খাবার খেয়েছে, আমরা আমাদের টেবিলে খাবার খেয়েছি। এই যে সৌহাদ্ধপূর্ণ সর্ম্পক। আজকের পত্রিকা দেখলাম জাতীয় পার্টির রানা সাহেবকে ইলেকশন কমিশন শর্তক করেছে। এর মধ্যে দিয়ে কিন্তু নির্বাচন কমিশনের স্বাধীণতা, সক্রিয়তার একটা বার্তা চলে এসেছে। জাতীয় নির্বাচনের জন্য সাংগঠনিক প্রস্তুতি শেষ এখন শুধু নমিনেশন ডিকলারের পালা। কখন নমিনেশন ডিকলার করবো। ঢাকা উত্তর ও রংপুর নির্বাচনের গুরুত্ব সমানই। সাংগঠনিক ভাবে আমাদের প্রস্তুতি আছে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরই আমাদের প্রার্থীতা ঘোষণা করা হবে। এখনো আইনী অবস্থা আমাদের কাছে পরিস্কার নয়। সিটি করপোরেশন নির্বাচনটা হচ্ছে উপনির্বাচন। আর কাউন্সিলর নির্বাচনটা উপনির্বাচন না। নির্বাচনের জন্য আমরা যেমন প্রস্তুত, জাতীয় পার্টি প্রস্তুত, বামমোর্চা প্রস্তুত ও বিএনপিও প্রস্তুত। নির্বাচন কমিশনের একটি আইন বিভাগ আছে তাদেরও সব ঠিক আছে এরই মধ্যে বলেই দিয়েছে। বিএনপির জন্য টেস্ট হলো যে, বিএনপি এতোদিন যে বলেছে, ‘এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না। তারা যা বলে তারা তা করে না। শেষ পর্যন্ত তারা নির্বাচনে আসে। তারা পেট্রোল বোমা ছেড়ে নির্বাচনে আসছে এটা ভালো দিক কিন্তু জামায়াতকে ছাড়তে পারলো না দুঃখের দিক, বেদনার দিক। আমরা আশা করবো মুক্তিযোদ্ধের অপশক্তি দল জামায়াতকে ছেড়ে দিবেন।’
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান বলেন, নির্বাচন তো স্বাভাবিক ভাবেই হওয়ার কথা। একজন মারা গেলে আসন শূণ্য হলে নির্বাচন হওয়ার কথা। আর এই নির্বাচনগুলো বাকিটা সময়ের জন্যই হয়। নির্বাচন সুষ্ঠু হয় কিনা? সেটা নির্বাচন আসলেই দেখা যাবে। যারা কাউন্সিলর নির্বাচন করবে তারা তো অর্ধেক সময়ের জন্য নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুত না। তারা ৫ বছর চাইবে কিন্তু সামগ্রিক ভাবে চিন্তা করলে এটা হবে না।
গণতান্ত্রিক বামমোর্চা দলের সমন্বয় ও বিল্পবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন একটি অপ্রত্যাশিত নির্বাচন। মেয়র আনিসুল হকের অপ্রত্যাশিত ভাবে মৃত্যুবরণ এটা ঢাকা ও ঢাকার বাহিরের মানুষের চিন্তার বাহিরে ছিলো। কিছুটা অপ্রত্যাশিত ভাবেই মানুষকে নির্বাচনে অংশ নিতে হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের সচিব বললেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনটা হবে। মানুষের মধ্যে একটা উদ্বিগ্ন আছে এখানে আইনগত ভাবে কোনো বাঁধা হয় কিনা? আমি মনে করি সেই দিক থেকে এখনো অনেক সময় আছে। যদি কোনো আইনী জটিলতা থাকে তাহলে আইনী জটিলতাকে সমাধান করে এই নির্বাচনে যাওয়াটা উচিত।