বিএনপির সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শেরপুরে বিশাল শান্তি সমাবেশ ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। ১৯ জুলাই বুধবার বিকেলে শহরের থানা মোড়স্থ বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে ওই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
শান্তি সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুইপ আতিউর রহমান আতিক এমপি। ওইসময় তিনি বলেন, উন্নয়ন, মর্যাদা ও সাহসিকতার প্রতীক শেখ হাসিনা। তার সাহসী ও দক্ষ নেতৃত্বের কারণেই দেশ আজ বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। সফল নেতৃত্বের কারণে তিনিও আজ সেরা বিশ্ব নেতাদের কাতারে অবস্থান করছেন। তিনি বলেন, বিএনপি লুটেরা, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যবাদের দল। তারা ক্ষমতায় থেকে দেশের সম্পদ লুটে খেয়েছে। বাংলাদেশকে দুর্নীতিতে করেছে চ্যাম্পিয়ন। এখন আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা বিদেশীদের মদদে ষড়যন্ত্র করছে। দেশের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে পরিস্থিতি ঘোলাটের চক্রান্ত করছে। তাদের সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় ভেদাভেদ ভুলে দলের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আগামী নির্বাচনে নৌকাকে আবারও বিজয়ী করে দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছানুয়ার হোসেন ছানু বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে শান্তি। আগামীতে তার নেতৃত্বেই যখন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার আন্দোলন চলছে, ঠিক তখন বিএনপি সন্ত্রাস-নৈরাজ্য সৃষ্টি করে শান্তি বিনষ্টের চক্রান্ত করছে।
আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য এডভোকেট চন্দন কুমার পাল পিপি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের কারণে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশ আজ মর্যাদাশীল। এটিই বিএনপির মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আওলাদুল ইসলাম, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হাসান উৎপল প্রমুখ। সমাবেশস্থলে জেলা, উপজেলা ও শহর আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ওইসময় থানামোড় থেকে নিউমার্কেট মোড় পর্যন্ত সড়কে হাজার হাজার দলীয় নেতা-কর্মীদের সরব উপস্থিতিতে কানায় কানায় ভরে যায়।
এর আগে থানা মোড় থেকে বের হয়ে এক বিশাল শোভাযাত্রা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই জায়গায় গিয়ে শেষ হয়।