শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার বারোমারী সাধু লিওর খ্রিষ্টান ধর্মপল্লীতে বন্যহাতির তান্ডবে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। রবিবার (১৮ জুন) সন্ধ্যা পর্যন্ত কয়েক দফায় বন্য হাতির দল খাবারের সন্ধানে মিশনের সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশ করে তান্ডব চালায়। তান্ডব চালিয়ে সংরক্ষিত এলাকায় গাছের কাঁঠাল ও কলাগাছ খেয়ে সাবার করেছে। এখন হাতি আতংকে দিনরাত পার করছে মিশনে বসবাসকারীরা।
সুত্র জানায়, বন্যহাতির পাল উপজেলার সীমান্তবর্তী বারোমারী সাধু লিওর ধর্মপল্লীর সংরক্ষিত এলাকার পশ্চিম পাশ দিয়ে প্রবেশ করে কাটাতারের সীমানা প্রাচীর দুমরে মুচরে শক্ত টিনের বেড়া পা দিয়ে পিষে বিনষ্ট করে। সেই সঙ্গে ভেঙে চুরমার করে ধ্বংস করে ফাতেমা রাণীর তীর্থস্থানে স্থাপিত ক্রুশ। খেয়ে সাবাড় করে গাছের কাঁঠাল। ধ্বংস করে সবজি বাগান, কলাবাগান, ভেঙ্গে ফেলে গাছপালা। মিশন হাসপাতালের টিনের প্রাচীর ভেঙে হাতির দল শূড় দিয়ে পেচিয়ে তুলে ফেলে সাব মার্সেবল পাম্পের পানির লাইন। গুড়িয়ে দেয় পানির লাইনের লোহা ও প্লাস্টিকের পাইপ। প্রায় ১৫/২০টি হাতি সারারাত এই তান্ডব অব্যাহত রাখে। পরে এক পর্যায়ে খড়ে আগুন ধরিয়ে, টিনে শব্দ করে ও পটকা ফুটিয়ে হাতি তাড়ানো হয়।
এলাকাবাসী জয়নাল মিস্ত্রি জানান, বন্যহাতির পাল সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলে চলে আসে লোকালয়ে। আবার দিনের বেলাও মাঝে মধ্যে তান্ডব চালায় হাতির দল। হাতি তাড়াতে প্রয়োজন চার্জার লাইট ও মশাল। মশাল জ¦ালাতে দরকার কেরোসিন তেল। লাইট বা তেল সরবরাহ করেননা কেউ। তাই হৈ হুল্লুর করলেও হাতি এখন আর ভয় পায় না।
এ বিষয়ে বারোমারী খ্রিষ্টান ধর্মপল্লীর পাল পুরোহিত রেভারেন্ট ফাদার তরুণ বনোয়ারী বলেন, বন্যহাতি বর্তমানে কোনো বাধাই মানে না। তিনদিন ধরে হাতি আতংকে ও আক্রমণে আমরা নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছি। এজন্য জুরুরী ভিত্তিতে সরকারী উদ্যোগ গ্রহন করা দরকার।