শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার বারমারী বাজারে সরকারীভাবে তৈরি করা দুটি শেড ঘরের মাঝখানের পাকা গলি দখল করে দোকান ঘর নির্মাণ করছেন কারমরুল ইসলাম নামে স্থানীয় এক ব্যবাসায়ী। সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে অনুমোতি নিয়েই তিনি এ ঘর নির্মাণ করছেন বলে জানিয়েছেন।
জানা গেছে, উপজেলার সীমান্তবর্তী ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ হাট এই বারমারী বাজার। প্রতি সপ্তাহের রোববার এবং বুধবার সেখানে নিয়মিত বড় হাট বসে। আশপাশের গ্রাম ছাড়াও পাশের উপজেলা থেকেও হাটুরেরা এখানে সাপ্তাহিক বাজার করতে আসেন। এছাড়াও নিয়মিত এখানে কিছু দোকান পাটও বসে। এই বারমারী হাটকে ঘিরেই তৈরি হয়েছে গ্রামীণ ছোট শহরের মতো বাজার। রকমারী অসংখ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল, পাশেই বিজিবি ক্যাম্প, চেল্লাখালী নদীর বালু মহাল, এমনকি দূরপাল্লার বাস স্টেশন। সবমিলে একটি উল্লেখযোগ্য ও গুরুত্বপুর্ণ হাট এই বারমারী। বাজারের একজন ভাড়ায় থাকা মুদী-মনোহরী ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম মাছ এবং কাঁচা বাজারে সরকারীভাবে তৈরি করা শেড ঘরের মাঝামাঝি জমি দখল করে দোকান ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন। ক্রেতাদের সুবিধার্থে সরকারীভাবে তৈরি করা গলিপথ বা পাকা রাস্তা ভেঙে সেখানে রড সিমেন্টের খুঁটি বসিয়ে টিনশেড দোকান ঘর নির্মাণ করা শুরু করেছেন। কামরুলের দোকান ঘর নির্মাণ দেখে শনিবার রাতে একই গলির অপর অংশ আরও এক ব্যক্তি বাঁশ বেঁধে দখলে নিয়েছেন। স্থানীয়রা জানান এখনই দখল প্রক্রিয়া বন্ধ করা না হলে বারমারী বাজারের সরকারী জায়গাসমূহ পর্যায়ক্রমে দখল হয়ে অলিগলিতে দোকান ঘর উঠবে। এতে বাজারটি সংকুচিত হয়ে সৌন্দয্য হারাবে।
ওই বাজারের বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক জানান, এটি হচ্ছে বাজারের গলি। এটি বিক্রির কোন অধিকার কারও নেই। এর ফলে বাজারের ক্ষতি হচ্ছে। স্থানীয় আব্দুল মজিদ ও আবু তালেব জানান, এই শেডঘর এলাকার এমপি মতিয়া চৌধুরীর প্রচেষ্টায় নির্মাণ করা হয়েছে। এখন এই শেড ঘরের গলি দখল করে ঘর উঠছে এটি অবৈধ। অপর বাসিন্দা ইসরাফিল জানান, আমি এ ঘর উঠাতে নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু না মেনে পাকা ভেঙে ঘর উঠাতে শুরু করেছে।
ঘর নির্মাতা কামরুল ইসলাম জানান, বাজার কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে তাদের অনুমোতি নিয়েই তিনি দোকান ঘর নির্মাণ শুরু করছেন। বাজারের ইজারাদার বিল্লাল হোসেন জানান, অভিযোগ আসার পর দোকান ঘর নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিয়েছি। এদিকে সরকারের কোন দায়িত্বশীলদের অনুমোতি না দিয়ে বাজারে দোকান ঘর নির্মাণ করায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হেলেনা পারভীন জানান, সরকারী জায়গা দখল করে কেউ ঘর নির্মাণ করে থাকলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।