বাংলাদেশজুড়ে নজরকাড়া নৈসর্গিক জায়গার অভাব নেই। সমুদ্র-পাহাড়-নদী – সব পর্যটন আকর্ষণই আছে এদেশে। আরো আছে প্রাচীন স্থাপনা, সবুজের মাঝে জ্যোৎস্নার খেলা, এমনকি মেঘের রাজ্যে নিজেকে হারিয়ে ফেলার মতো চোখ জুড়ানো পর্যটন কেন্দ্র। দেশে যা আছে দেখার মতো, তা নিয়েই এই আয়োজন-
ঐতিহাসিক স্থান
দেশে অসংখ্য ঐতিহাসিক স্থান রয়েছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য- জাতির পিতার সমাধিসৌধ, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ, জাতীয় কবির সমাধিসৌধ, কার্জন হল, নর্থব্রুব হল, বলধা গার্ডেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, পুরাতন হাইকোর্ট ভবন, বাহাদুর শাহ পার্ক, দীঘাপতিয়া রাজবাড়ি, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কবরস্থান, শিলাইদহ কুঠিবাড়ি, সাগরদাঁড়ি, মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ, ত্রিশাল ও গান্ধী আশ্রম।
প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ও ধর্মীয় স্থাপনা
প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- মহাস্থানগড়, ময়নামতি, সোনারগাঁও, পানাম সিটি, পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার, লালবাগ কেল্লা, উয়ারি-বটেশ্বর, ভিটাগড়, বড় কাটরা, ছোট কাটরা, জগদ্দলা মহাবিহার, নোয়াপাড়া-ঈশানচন্দ্রনগর, আহসান মঞ্জিল। ধর্মীয় স্থাপনার মধ্যে ধানমন্ডিতে মোগল ঈদগাহ, ষাটগম্বুজ মসজিদ, বাঘা মসজিদ, কান্তজির মন্দির, বুদ্ধ ধাতু জাদি, আর্মেনিয়ান গির্জা অন্যতম।
সমুদ্রসৈকত
পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। প্রায় ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ। এটি বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ভ্রমণ গন্তব্য৷ এছাড়া অন্যান্য সৈকতগুলো হল- সেন্টমার্টিন, কুয়াকাটা, পতেঙ্গা, পারকী, টেকনাফ, কটকা ও সিলেটের তারুয়া।
পাহাড় ও দ্বীপ
পাহাড়ের বাঁকে বাঁকে প্রায় ১৭৬০ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের কাপ্তাই লেক রাঙ্গামাটির অন্যতম ভ্রমণ গন্তব্য। এছাড়া আছে- বান্দরবান, পাহাড়ি শহর খাগড়াছড়ি, সৌন্দর্যের রানি সাজেক। দ্বীপগুলো হল- সেন্টমার্টিন প্রবাল দ্বীপ, মহেশখালী, মনপুরা, নিঝুম দ্বীপ, সন্দ্বীপ, ছেঁড়া দ্বীপ, ভোলা, মজু চৌধুরীরহাট পর্যটন কেন্দ্র, হাতিয়া, কুতুবদিয়া, সোনাদিয়া দ্বীপ, নাফ নদীর মোহনায় জালিয়ার দ্বীপ।
বন ও জলাভূমি
বাংলাদেশ ও ভারতজুড়ে প্রায় দশ হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তনের পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শ্বাসমূলীয় বন সুন্দরবন। এছাড়া অন্যান্য আকর্ষণের মধ্যে রয়েছে- ভাওয়াল, লাউয়াছড়া বন, রাতারগুল জলাবন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমির মধ্যে আরো আছে সিলেটের জাফলং, রাতারগুল, লালাখাল ও বিছনাকান্দি।
ঝরনা
দেশে অসংখ্য ঝরনা রয়েছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- মৌলভীবাজারের মাধবকুণ্ড, রাঙ্গামাটির শুভলং ঝরনা, বান্দরবানের রিজুক, সীতাকুণ্ড ইকো পার্কের সহস্রধারা-২, খাগড়াছড়ির রিসাং, সীতাকুণ্ড ইকো পার্কের সুপ্তধারা, সীতাকুণ্ড ছোট দারোগার হাটের সহস্রধারা-১/ মূল সহস্রধারা, খাগড়াছড়ির হাজাছড়া, মিরসরাইয়ের বান্দরখুম, বাঘবিয়ানী, খৈয়াছড়া, বান্দরবানের জাদিপাই, খাগড়াছড়ির তৈদুছড়া ১ এবং ২, খাগড়াছড়ির স্টাইলিশ ঝরনা সিজুক ১ এবং ২ ,বান্দরবানের জিনাপাড়া/ ক্রাইক্ষ্যং হ্লোম ঝরনা, পলি খিয়াং, তিদংখত সাইতার, মাংসাং ঝরনা, ব্যাংছড়ি ঝরনা, বাক্তলাই ও জিংসাম সাইতার।
অন্যান্য আকর্ষণ
জাতীয় সংসদ ভবন, বঙ্গভবন, শাঁখারি বাজার, সদরঘাট, রমনা পার্ক, জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান, জাতীয় চিড়িয়াখানা, জাতীয় উদ্যান, বাটালি পাহাড়, যমুনা সেতুসহ বাগান, সাতলা, জাদুঘর, প্রাসাদ, উদ্যান ও অসংখ্য নদীসহ নানা জায়গা।