ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার আইয়ুবপুর ইউনিয়নের চর ছয়আনি গ্রামের শাহ আলম মিয়া প্রায় নয়মাস আগে পাড়ি জমান সৌদি আরবে। বাড়িতে রেখে যান দুইছেলে, মেয়ে ও স্ত্রীকে।
বাড়িতে তারা একাই থাকত।
প্রতিদিনের মত সোমবার রাতেও শাহ আলমের স্ত্রী জেকি আক্তার তার দুই ছেলে মাহিন ও মহিন এবং কন্যা ওজিফাকে সঙ্গে নিয়ে ঘরেই ছিলেন।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে আটটার দিকে গৃহকর্মী জেসমিন ঘরের প্রধান ফটক বন্ধ দেখে জেকিকে ডাকতে থাকেন। কিন্তু সাড়া শব্দ পাননি। পরে স্বজনদের বিষয়টি জানালে তারা এসে গেইট খুলে একটি কক্ষের মেঝেতে জেকি ও তার ছোট ছেলে মহিন এবং পাশের বাথরুমে বড় ছেলে মাহিনের রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পায়। পরে বিষয়টি জানালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। এছাড়া পিআইবি, সিআইডি ও ডিবি ক্রাইমসিনের একটি টিম ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে।
এদিকে ঘটনার পর নিহতদের বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসীর ঢল নামে। তারা নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার চান।
নিহতের স্বজনরা জানান, তাদেরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় তারা খুনিদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত আইনের আওতায় এনে ফাঁসি দাবি জানান।
এদিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিরাজুল ইসলাম। তিনি জানান, ঘটনার তদন্তে পুলিশ, সিআইডি, পিআইবিসহ চারটি টিম কাজ করছে।