জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে যমুনার বামতীরের পাইলিং ও নদী ভাঙ্গন রক্ষার্থে বিআইডাব্লিউটিএ এর খনন কাজের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও মানবন্ধন করা হয়েছে। বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ড্রেজারের কাছে নৌকাযোগে সমাবেশ ও নদীর পাড়ে মানববন্ধন করেন।
শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) বিকালে স্থানীয় শশারিয়াবাড়ি খানপাড়ায় এ বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন ইসলামপুর পাথর্শী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. এরশাদ হোসেন।
জানা যায়, জেলার ইসলামপুরের উলিয়া থেকে যমুনার বামতীর রক্ষার্থে ৪৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে দেওয়ানগঞ্জের বাহাদুরাবাদ ঘাট (ফুটানি বাজার) পর্যন্ত পাইলিং করে যমুনার ভাঙ্গনের হাত থেকে বিস্তীর্ণ এলাকাকে রক্ষা করা হয়। পাইলিং করার পরে পাইলিং ঘেঁষে নদীবুকে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে জেগে উঠেছে চর। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, ওই পাইলিং ঘেঁষে দেওয়ানগঞ্জের দাসপাড়ার পশ্চিমে বিআইডাব্লিউটি এর কার্যাদেশ প্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বাংলা ড্রেজার দিয়ে যমুনায় জেগে ওঠা চর খনন করছে। এতে বর্ষার সময় উজান থেকে নেমে আসা ঢলে যমুনার বামতীর রক্ষার ওই পাইলিংয়ে সরাসরি আঘাত হেনে পাইলিং ভেঙ্গে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইসলামপুর পাথর্শী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. এরশাদ হোসেন বলেন, বিআইডাব্লিউটিএ এর কার্যাদেশ প্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘বঙ্গ ড্রেজার লি. পূর্বেকার যমুনায় ড্রেজিংকৃত চ্যানেলে খনন না করে নতুন করে পাইলিং বরাবর ড্রেজিং করে সংক্ষিপ্ত নৌ-রুট তৈরি করছে। এতে এ অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা আবারও যমুনার ভাঙ্গনের কবলে পড়বে।
শশারিয়াবাড়ির আব্দুল খালেক বলেন, বর্তমানে ড্রেজিংকৃত স্থানের পশ্চিম দিয়ে পূর্বেকার ড্রেজিংকৃত নৌপথ রয়েছে। পাইলিং ভেঙ্গে গেলে দেওয়ানগঞ্জ ও ইসলামপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা আবারও যমুনার ভাঙ্গনের শিকার হবে।
এ ব্যাপারে বিআইডাব্লিউটিএ এর ইঞ্জিনিয়ার মো. নুরুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী আমরা খনন কাজ করছি। বিআইডাব্লিউটিএ থেকে যেভাবে নির্দেশনা দেওয়া আছে ঠিক সেইভাবেই খনন কাজ চলছে, এ বিষয়ে এলাকাবাসীদের সাথে বসে আলোচনা করা হবে