পানি নামতে থাকায় শেরপুরে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। শেরপুর-জামালপুর সড়কের পোড়ার দোকান কজওয়ের (ডাইভারশন) পানি কমায় আট দিন বন্ধ থাকার পর ২৩ আগস্ট বুধবার দুপুরে ওই সড়কে যান চলাচল পুণরায় শুরু হয়েছে। বন্যার পানি কমলেও এখনও সদর উপজেলার আটটি ইউনিয়নের নিন্মাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি জমি নিমজ্জিত অবস্থায় রয়েছে। সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পিকন কুমার সাহা জানান, চলতি বন্যায় সদরের প্রায় তিন হাজার হেক্টর জমির আমন আবাদ, বীজতলা ও সব্জীর আবাদ পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। পানি পুরোপুরি নেমে যাওয়ার পর ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ হিসাব পাওয়া যাবে। তবে কৃষকদেরকে বন্যা পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে মাঠ পর্যায়ে অবহিতকরণ করা হচ্ছে।
এদিকে শেরপুরে চরাঞ্চলের বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে জেলা পুলিশ। বুধবার বিকেলে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সদর উপজেলার চরপক্ষিমারি ও চরমুচারিয়া ইউনিয়নের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ২০০ মানুষের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরন করা হয়েছে। এসব ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ৫ কেজি করে চাল, ২ কেজি চিড়া, এক কেজি গুড়, দিয়াশলাই, মোমবাতি ও খাবার স্যালাইন। বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত মহা-পুলিশ পরিদর্শক (প্রশাসন ও অপারেশন) মো. মোখলেছুর রহমান বিপিএম (বার) প্রধান অতিথি হিসেবে এসব ত্রাণসামগ্রী বিতরন করেন। স্থানীয় মুকসুদপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ উপলক্ষে আয়োজিত ত্রাণসামগ্রী বিতরন অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার মো. রফিকুল হাসান গণি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ছানুয়ার হোসেন ছানু এবং জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, কমিউনিটি পুলিশিং সংগঠক ও সুধীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
শেরপুর টাইমস/ বা.স