জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার মাঠে মাঠে সোনালী ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত যেন সেজেছে সোনালী রঙে। গত বছরের তুলনায় চলতি আমনের ফলন ও ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকের মুখে সোনালী হাসি ফুটেছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানা গেছে ,উপজেলায় এবার ১২ হাজার ৭১২ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে। এরমধ্যে আগাম জাতের আমনের চাষ হয়েছে ৪ হাজার হেক্টর জমিতে। এধরনের জাতের মধ্যে রয়েছে হাইব্রিড-৬৭৬০ হেক্টর, উফশি-৫৫৫২ ও স্থানীয় ৪০০ হেক্টর আমন জাতের ধান চাষ হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, জমিতে আমন ধানের ফলন ভালো হয়েছে। ধানের ভারে গাছের শীষ নুইয়ে পড়ছে। অল্প কিছুদিনের মধ্যে পুরোদমে ধান কাটা শুরু হবে। যদিও এরই মধ্যে কোন কোন এলাকায় ধান কাটা শুরু হয়ে গেছে।
কৃষকরা জানান, এই ধানের রোগবালাই থাকলেও কৃষি অফিসে সবসময় যোগাযোগ রেখেছেন। কৃষি অফিসের সার্বিক সহায়তা পেয়েছেন তারা। আশাতীত ফলন পেয়েছেন কৃষকরা। সাধারণত অগ্রহায়ণ মাসের শেষ দিকে আমন ধান কাটা হয়। এবার মাস দেড়েক আগেই এই ধান পাকতে শুরু করেছে। সব খরচ বাদ দিয়ে এবার লাভবান হবেন বলে আশা করছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আলমগীর আজাদ বলেন, আমন মৌসুমে কম সময়ে অধিক ফলন হয় এমন জাতের ধানের আবাদ বৃদ্ধির জন্য কাজ করছি। নতুন জাতগুলোর ৬৬টি প্রদর্শনী দেওয়া হয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে। জমিতে বোরো চাষের আগে আলু-সরিষাসহ রবিশস্য উৎপাদন করতে পারবে। এটি কৃষকদের বোনাস ফসল।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনমুন জাহান লিজা বলেন, সরকার করোনাকালীন সময়ে কৃষকদেরকে বিনামূল্য বীজ ও সার প্রণোদনা দিয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসের দিক নির্দেশনায় কৃষকের পরিচর্যায় এবছর আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে।