মাসকয়েক আগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ‘সেনাবাহিনীর পুতুল’ বলেছিলেন তিনি। ক্রিকেটার-রাজনীতিকের প্রাক্তন স্ত্রী রেহাম এবার নিশানা করলেন তাঁর উত্তরসূরি বুশরা মানেকাকে। একটি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রেহামের দাবি, ‘ইমরানের যাবতীয় রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তের নেপথ্যে থাকেন তাঁর তৃতীয় স্ত্রী বুশরা।’
১৯৯৫ সালে ব্রিটিশ ধনকুবের পরিবারের কন্যা জেমাইমা গোল্ডস্মিথকে বিয়ে করেছিলেন ইমরান। ২০০৪ সালে তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছিল। এর পরে ২০১৫ সালে ব্রিটিশ-পাক টিভি সাংবাদিক রেহামকে বিয়ে করেন। কিন্তু কিছুদিন পরেই তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়।
সাক্ষাৎকারে রেহামের অভিযোগ, তাঁর সঙ্গে বিয়ের অন্তত তিন বছর আগে থেকে বুশরার সঙ্গে মেলামেশা ছিল ইমরানের। এমনকী ২০১৩ সালে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের সময় তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রার্থী নির্বাচনে বুশরার ভূমিকা ছিল বলেও দাবি করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে আধ্যাত্মিক গুরু বুশরার সঙ্গে ইমরানের বিয়ে হলেও তার বেশ কিছুদিন আগে থেকেই দু’জনের সম্পর্ক নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল পাক মিডিয়ায়। প্রসঙ্গত, বুশরার প্রাক্তন স্বামী খওয়ার ফরিদ মানেকাও এর আগে অভিযোগ করেছিলেন, ইমরানের আবির্ভাবের পরেই তাঁদের সংসারে ভাঙনের সূচনা হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন হওয়ার পরে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির নেতা ইমরান যে ‘নয়া পাকিস্তান’ গড়ার ডাক দিয়েছেন, তাকেও কটাক্ষ করেছেন রেহাম। তাঁর কথায়, ‘ইমরান-বুশরার আপাদমস্তক ঢাকা পোশাক পরা বিয়ের ছবি দেখুন। ধর্মীয় অনুশাসনের প্রতি দায়বদ্ধতা বোঝাতেই জনতাকে ওই ছবি দেখানো হয়েছিল। এভাবে কি দেশ বা সমাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব?’
পাক সরকার এবং শাসকদলের নানা খুঁটিনাটি সিদ্ধান্ত বুশরার অঙ্গুলিহেলনেই পরিচালিত হয় বলে দাবি করেছেন রেহাম। তাঁর খোঁচা, ‘বুশরা আসলেই ইমরানের আধ্যাত্মিক পথপ্রদর্শক। তিনি যা বলেন, ইমরান তা-ই করেন।’ সূত্র: ইত্তেফাক।