ফ্ল্যাট বিক্রির নামে প্রতারণা মামলায় আরও এক টালিউড অভিনেত্রীকে তলব করল ইডি। নুসরাত জাহানের পর অভিনেত্রী রূপলেখা মিত্রকে তলব করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেডের ডিরেক্টর পদে ছিলেন রূপলেখা। আগামী সপ্তাহেই রূপলেখাকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সংস্থার আরও দুই ডিরেক্টর নুসরত জাহান, রাকেশ সিংহকেও তলব করেছে ইডি। এ ঘটনায়, রূপলেখা মিত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল ভারতীয় একটি গণমাধ্যম। তিনি জানিয়েছেন, ডিরেক্টর পদে থাকলেও সক্রিয় ছিলেন না তিনি।
এদিকে প্রতারণার মামলায় সংসদ সদস্য ও অভিনেত্রী নুসরাত জাহানকে গতকাল (৫ সেপ্টেম্বর) তলব করেছিল ইডি।
২০১৪-১৫ সালে চার শতাধিক প্রবীণ নাগরিক একটি সংস্থায় অর্থ জমা দেন। প্রত্যেকের কাছ থেকে সাড়ে ৫ লাখ রুপি করে নেওয়া হয়েছিল। এর বদলে তাদের সবাইকে এক হাজার বর্গফুটের ফ্ল্যাট দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা না পেয়েছেন ফ্ল্যাট, না ফেরত পেয়েছেন অর্থ। নুসরাত ওই সংস্থার ‘অন্যতম ডিরেক্টর’ বলে দাবি করেছিলেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা।
এই বিজেপি নেতার অভিযোগ, এ বিষয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই প্রবীণরা। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। নুসরাতের বিরুদ্ধে আদালতেও মামলা করা হয়েছিল। কিন্তু আদালতের সমন পেয়েও হাজিরা দেননি নুসরাত। তাই বাধ্য হয়েই প্রতারণার শিকার হওয়া লোকজনকে নিয়ে ইডি দফতরে গিয়ে অভিযোগ জানিয়ে আসেন শঙ্কুদেব। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী পরে দাবি করেন, প্রতারণার টাকা দিয়ে পাম এভিনিউতে ফ্ল্যাট কিনেছেন নুসরাত জাহান।
অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর নুসরাতের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সেখানে তিনি যাবতীয় অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। নুসরাত স্পষ্ট জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট সংস্থাটির কাছ থেকে ঋণ নিয়ে তিনি ফ্ল্যাট কিনেছেন।
সেই ঋণ সুদসহ ফিরিয়েও দিয়েছেন। ওই সংস্থার সঙ্গে তার আর কোনো যোগাযোগও নেই। কোনো ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে তিনি যুক্ত নন বলেও দাবি করেন নুসরাত। তবে সংবাদ সম্মেলনে এর বাইরে সাংবাদিকদের আর কোনো প্রশ্নেরই জবাব দেননি তিনি।