আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়’, সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে এমন পোস্ট লিখে আত্মহত্যা করেছেন এক যুবক। নিহত ওই যুবকের নাম আমিনুল ইসলাম (২৭)। রোববার (২৩ জুন) বিকেল ৩টার দিকে সদর উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের বাদাপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আমিনুল ওই গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল হালিমের ছেলে। আমিনুল বেশ কিছুদিন যাবত মানসিক অবসাদে ভুগছিল বলে স্থানীয়রা জানান।
সুত্রে জানা গেছে, গত প্রায় ৬ থেকে ৭ মাস আগে সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের ইলশা গ্রামের চিন্টুর মেয়ে বিথী আক্তারকে বিয়ে করেন আমিনুল ইসলাম। আমিনুল দীর্ঘদিন বেকার থাকায় তার স্ত্রী বেশিরভাগ সময় বাবার বাড়িতেই থাকতেন। সম্প্রতি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের একটি প্রজেক্টে কাজ শুরু করেন আমিনুল। তবে তিনি বেশ কিছুদিন যাবত মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন।
গত ১৯ জুন ময়মনসিংহের এক চিকিৎসকের তত্বাবধানে কাউন্সিলিং ও ঔষধপত্র সেবন শুরু করেন তিনি। কিন্তু রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে আমিনুল ইসলাম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে নিজ বসতঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। তার ফেসবুক পোস্ট দেখে ঘরের স্টিলের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমিনুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে রোববার দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে আমিনুল তার ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্টে লিখেন, ‘আমি আমার সঠিক মস্তিষ্কে লিখে জাচ্ছি যে, আজ আমার মৃতুর জন্য কেও দায়ী নয়। এই বিষয়টা নিয়ে যেন কারো প্রতি কোন প্রকার চার্য না করা হয় এবং কাওকে দায়ী না করে হয়। আমিনুল ইসলাম। তার আগে দুপুর ২টা ৮ মিনিটে পোস্ট দিয়ে তিনি লিখেছিলেন, ‘ঝুলে গেলে মানুষ মরে যায়, নাকি বেচে যায় ?’
এ ব্যাপারে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক জানান, নিহতের লাশ জেলা সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থাগ্রহন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।