উজান থেকে নেমে আসা পানি ও শেরপুরের পুরাতন ব্রহ্মপুত নদের পানি বাড়ার কারণে শেরপুর সদর উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে পানি প্রবেশ করে। প্লাবিত হয় বেশ কিছু গ্রাম।
একটু চিড়ে, গুড় আর শুকনো খাবারের জন্য হাহাকার লেগে গেছে শেরপুরের প্লাবিত এলাকাগুলোতে। বিভিন্ন রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ হতে ত্রাণ সরবরাহ করা হলেও তা ছিল প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতূল। বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাবে ছড়িয়ে পড়ছে পানিবাহিত রোগ। ঔষধের অভাবে ধুঁকছে মানুষ। ঘর ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া মানুষগুলোর জনজীবন আজ বিপন্ন।
এই হাহাকার দেখে শেরপুরের তিন তরুণ শামীম হোসেন, সোহেল রানা ও এমদাদুল হক রিপন মিলে গত ১৭ আগষ্ট বৃহস্পতিবার ফেসবুকে “আসুন শেরপুরের বন্যা দূর্গতদের পাশে দাঁড়াই” নামে একটি ইভেন্ট খুলে। ইভেন্টের বর্ণনায় তিনজনের মোবাইল ব্যাংকিং নম্বর প্রকাশ করা হয়।
শেরপুরের বা এর বাইরের ফেসবুক ব্যবহারকারী এবং স্থানীয় শিক্ষা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সাধারন মানুষ টাকা জমা করতে থাকে। দিনমজুর থেকে শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীরা এ কার্যক্রমে সহযোগিতার হাত বাড়ায়। এরপর ২১ আগষ্ট পর্যন্ত জমাকৃত টাকার পরিমান হয় ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। টাকার পরিমাণ বাড়তে থাকায় চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে ২১ আগস্ট, বন্যা দুর্গত এলাকা পর্যবেক্ষণ করে প্রাথমিকভাবে ২৫০ জন দুর্গতদের তালিকা তৈরী করা হয়।
চাল, ডাউল, আলু, লবণ, তেল, চিনি,সেমাই, দুই প্রকার সাবান, দুধ, খাবার স্যালাইনসহ মোট ১২টি পণ্যে ২৫০ টি প্যাকেট নিয়ে আজ মঙ্গলবার দুপরে শেরপুর সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের কুলুরচর বেপারীপাড়া গ্রামের ২৫০ টি পরিবারের মাঝে এ ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এসময় জেলা আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ দুলাল মিয়া, সমাজসেবী রাজিয়া সামাদ ডালিয়া, শেরপুর সরকারী কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান শিব শংকর কারুয়া, ছাত্রলীগ নেতা ও মতিউর রহমান মতিন, মানবাধিকারকর্মী ও সাংবাদিক ইমরান হাসান রাব্বী, কলেজ শিক্ষার্থী অন্তরা ইসলাম, শেখ হামিরা মিমি, রুমা,আনোয়ার, সাইফুল, আকরাম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।