গত বছরে দু’দফায় ফসল হারিয়ে ফের স্বপ্ন বুনছেন শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার কৃষকেরা। হিমেল হাওয়া ও শৈত্য প্রবাহে মাঘের শীত উপেক্ষা করে কৃষকেরা এখন বোরো ধান রোপনে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। বিস্তীর্ণ এলাকার মাঠজুড়ে আবাদের ধুম চলছে। ভোরের আলো ফুটতেই কোমর বেঁধে ফসলের মাঠে নেমে পড়ছেন কৃষকেরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কুয়াশায় ঢাকা শীতের সকালে বীজতলায় ধানের চারা পরিচর্যার পাশাপাশি জমি চাষের কাজ চলছে পুরোদমে। আবার কোন কোন ক্ষেতে বোরো ধান রোপনের জন্য বীজতলা থেকে তোলা হচ্ছে ধানের চারা। পুরুষ শ্রমিকের পাশাপাশি আদিবাসী নারী শ্রমিকেরাও বোরো আবাদের কাজ করছেন। ইতিমধ্যে উপজেলা সদর, ধানশাইল, কাংশা, নলকুড়া, গৌরীপুর, হাতিবান্দা, মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের কৃষকেরা বোরো আবাদের জন্য তৈরী জমিতে ধানের চারা রোপন শুরু করেছেন। উপজেলার পাগলারমুখ গ্রামের কৃষক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, গত বছর বোরো ও আমন ধান বন্যার পানিতে নষ্ট হয়েছে। ওই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবারও ২ একর জমিতে বোরো ধান রোপন করেছি।
নয়াগাঁও গ্রামের কৃষক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এবার তিনি ৩একর জমিতে বোরো আবাদ করবেন। সেজন্য ১০ শতক জমিতে বীজতলা তৈরী করেছেন। ইতিমধ্যে ১ একর জমির চাষ শেষ হয়েছে। দু’একদিনের মধ্যেই চারা রোপন করবেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবার বোরো মৌসুমে ১৪ হাজার ৭শ’ ২৮ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯ হাজার ২শ’ ৪৯ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল (উফশী), ৫ হাজার ৪শ’ ৭৭ হেক্টর জমিতে হাইব্রীড ও ২ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের বোরো ধান চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল আওয়াল বলেন, আবহাওয়া ও পরিবেশ অনুকলে থাকলে চলতি মৌসুমে বোরো আবাদ লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।