শেরপুরের সিনিয়র সাংবাদিক, শেরপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও এনটিভির জেলা প্রতিনিধি কাকন রেজার বড় ছেলে এহসান ইবনে রেজা ফাগুনের মরদেহ সন্ধ্যায় শেরপুরে পৌঁছেছে। ইফতারের আগে নিহতের পরিবার ও শেরপুর প্রেসক্লাবের একটি প্রতিনিধি দলের কাছে আঞ্জুমান মফিদুলের কর্মকর্তারা ফাগুনের মরদেহ হস্তান্তর করেন। পরে এ্যাম্বুলেন্স যোগে শেরপুর চকবাজারস্থ নিজ বাসভবনে তার মরদেহ আনা হয়।
পরিবার সূত্র জানায়, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় আত্মীয়স্বজন থাকায় আজ রাতে জানাযা সম্ভব হচ্ছে না। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার ২৩ মে) সকাল ১০টায় তেরা বাজার মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে নিহতের প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত হবে বলে নিশ্চিত করেছেন নিহতের বাবা সাংবাদিক কাকন রেজা।
উল্লেখ্য, জামালপুর সদরের নান্দিনা থেকে এহসান ইবনে রেজা ফাগুন নামে এক সাংবাদিকের ছেলের লাশ উদ্ধার করেছে রেলওয়ে থানা পুলিশ। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নান্দিনা-নুরুন্দি এলাকার মধ্যপাড়া থেকে ওই ছেলের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত এহসান ইবনে রেজা ফাগুন (২০) এনটিভির শেরপুর প্রতিনিধি কাকন রেজার ছেলে। সে তিতুমীর কলেজে টুরিজম এন্ড হোটেল ম্যানেজমেন্টে ১ম বর্ষের ২য় সেমিস্টারের ছাত্র ছিলো।
জামালপুর রেলওয়ে থানার (ওসি) তাপস চন্দ্র পন্ডিত জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার নান্দিনা-নুরুন্দির মধ্যপাড়া এলাকায় রেললাইনের পাশে মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। পরে রেলওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। মৃতদেহের পরিচয় না পাওয়ায় ময়নাতদন্ত শেষে আজ বুধবার দাফনের জন্য আঞ্জুমান মফিদুলের কাছে হস্তান্তর করা হয়। দুপুর ৩টার দিকে এনটিভির শেরপুর প্রতিনিধি কাকন রেজা নিখোঁজ ছেলের খোঁজ করতে রেলওয়ে থানা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করেন। এসময় ছবি দেখে ছেলের লাশ সনাক্ত করেন তিনি। পরে অজ্ঞাত পরিচয়ে ফাগুনের লাশ দাফন স্থগিত করে দেওয়া হয়। রাত ৯টা থেকে ১১টার মধ্যে এহসান ইবনে রেজা ফাগুনের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে এবং ওই সময়ে ঢাকা থেকে একাধিক ট্রেন জামালপুরের দিকে আসে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে থানা পুলিশ।
নিহতের বাবা কাকন রেজা জানিয়েছেন, এহসান ইবনে রেজা ফাগুন মঙ্গলবার ঢাকা থেকে শেরপুর আসছিলো। ময়মনসিংহ আসার পূর্বেও তার সাথে ছেলের কথা হয়েছে। কিন্তু রাতে ফিরে না আসায় ছেলের খোঁজ করছিলেন তিনি।