শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে নারীকে হত্যার পর লাশ টুকরা করে গুম করার চেষ্টা মামলার মুল হোতা মাসুদ মিয়া (৩৪) ও তার আরেক সহযোগী আব্দুস সাত্তারকে (১৯) পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। ৩১ জানুয়ারি বুধবার ভোরে ঢাকার দক্ষিণ খান এলাকার একটি ভাড়াটিয়া বাসা থেকে মাসুদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তার আগে রাতে নালিতাবাড়ীর চাঁদগাও গ্রামের চাহাপাড়ার বাড়ী থেকে শহর আলীর ছেলে আব্দুস সাত্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত মাসুদ, চাঁদগাও গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে।
সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) নালিতাবাড়ী সার্কেল মো. জাহাঙ্গীর আলম এ দু’জনকে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার পুলিশ হেফাজতে জিঙ্গাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন সহ মাসুদ ও সাত্তারকে বিচারিক হাকিমের আদালতে সোপর্দ করা হবে।
এনিয়ে ওই নারী হত্যার ঘটনায় সর্বমোট ৫ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এর আগে গত ২৬ জানুয়ারি ওই মামার এজাহারভুক্ত আসামী চাঁদগাও গ্রামের মজিবর রহমানের স্ত্রী আবেদা খাতুন, নূর ইসমাইলের স্ত্রী মিনারা বেগম এবং আব্দুল মোতালেবের মেয়ে রওশন আরা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা এখন শেরপুর জেলা কারাগারে আটক রয়েছেন।
উল্লেখ্য গত ১৭ জানুয়ারি ঝিনাইগাতী উপজেলার বনগাঁও পূর্বপাড়া গ্রামের স্বামী পরিত্যক্তা এক সন্তানের জননী রোকশানা বেগমকে (২২) চালকলে কাজ করার কথা বলে ডেকে আনেন পাশ^বর্তী নালিতাবাড়ী উপজেলার রাজনগর ইউনিয়নের চাঁদগাও গ্রামের মাসুদ। তারপর থেকে ওই নারীর কোন সন্ধান মেলছিলনা ।
পরে ২৫ জানুয়ারি শুক্রবার সকালে চাঁদগাওয়ের সুরতখাল সংলগ্ন মাসুদের মামা মোতালেবের সদ্য রোপিত বোরো আবাদী জমির মাটি খুড়ে জমিতে পৃথক পৃথক ভাবে পুঁতে রাখা অবস্থায় রোকশানার লাশের খন্ডিত দেহ ও মাথা উদ্ধার করে পুলিশ। তবে অদ্যাবধি লাশের হাত ও পায়ের কোন সন্ধান মেলেনি।