নাঈম ইসলাম; বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে শেরপুরে গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছে। হালকা মেঘে আচ্ছন্ন হয়ে আছে শেরপুরের আকাশ। সকাল সাড়ে দশটা থেকে জেলার কোথাও কোথাও বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
এদিকে, কৃষকরা ক্ষেতে আধাপাকা ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। জমির সব ধান এখনো পাকেনি। উপায় না পেয়ে আধাপাকা ফসল তোলা হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আশরাফ উদ্দিন বলেন, এখন পর্যন্ত শেরপুরের ৫ টি উপজেলায় ২১ শতাংশের মতো ধান কাটা হয়েছে। এখনো সব ধান পাকেনি। এক সপ্তাহ গেলে প্রায় সব ধান পেকে যাবে। আমরা পরামর্শ দিয়েছি খেতে ধান যদি ৮০ শতাংশ পেকে যায় তাহলেও কৃষক যেনো তা কেটে ফেলেন।” কিন্তু, বাস্তবতা হলো এতো অল্প সময়ের মধ্যে শ্রমিক জোগাড় করে এতো ধান কেটে নেওয়া কোনো ভাবেই সম্ভব নয়। তার মানে ঘূর্ণিঝড় “ফণী”র প্রভাবে কৃষকের ক্ষতির একটা বড় আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের কৃষক তমিজউদদীন বলেন, আমার জমিতে হাইব্রিড ধান। এক-দেড় সপ্তাহ লাগবে পাকতে। শিলা বৃষ্টি বা ঝড়োহাওয়া বইলে সব ধান পড়ে যাবে। আবাদ নিয়ে খুব চিন্তায় আছি।
শ্রীবরদী উপজেলার খড়িয়া কাজিরচর ইউনিয়নের কৃষক গোলাপ আলি বলেন, আমার ধান প্রায় সব পেকেছে। ঝড়ের কথা টিভিতে শুনতেছি। কিন্তু এতো তাড়াতাড়ি কেটে বাড়িতে নেওয়া সম্ভব না।
অপরদিকে, জেলার লোকজন জানে একটা ঝড় আসছে, তবে কেমন বড় বা কি হতে পারে তা নিয়ে তেমন ধারণা নেই। যারা সচেতন তাঁরা বলছেন। পরিস্থিতি বুঝে চিন্তা করবেন। অনেকে বলেছেন, ঝড় আসলে কি করার আছে। মাঝে মাঝেই তো আসে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এ মৌসুমে জেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লক্ষ ৭৪ হাজার মেট্রিকটন।
জেলায় আবহাওয়া অফিস না থাকায় জেলায় বয়ে চলা আবহাওয়া সম্পর্কে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।