শেরপুরের শ্রীবরদীতে প্রেমের টানে এক সন্তানের জনকের ঘরে অবস্থান নিয়েছে কলেজ ছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার শ্রীবরদী সদর ইউনিয়নের কুকড়ার পাড় গ্রামের মোশারফ হোসেনের বাড়িতে। এনিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, কুকড়ার পাড় গ্রামের মাসুদ মিয়ার শ্রীবরদী সরকারি কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের কলেজ পড়–য়া ছাত্রীর সাথে একই গ্রামের নাঈম উদ্দিনের ছেলে এক সন্তানের জনক মোশারফ হোসেনের সাথে দুই বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই ছাত্রীর বাবা তার মেয়ের অসম প্রেমের বিষয়টি জানতে পেরে সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেন। শনিবার দুপুরে বিয়ের স্বীকৃতির দাবীতে মোশারফের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে ওই ছাত্রী। খবর পেয়ে মেয়ের বাবা ও মা মোশারফের বাড়ি থেকে মেয়েকে আনতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ওই কলেজ ছাত্রী জানায়, প্রায় ২ বছর আগে মোশারফের সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সম্পর্কের এক পর্যায়ে দেড় বছর আগে মোশরাফ বিয়ের কথা বলে কাজী পরিচয়ে ১ জনকে ডেকে এনে রেজিষ্ট্রি ফরমে স্বাক্ষর নেয়। এরপর থেকে তার সাথে আমার স্বামী-স্ত্রী’র সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু সে আজ পর্যন্ত স্ত্রী’র স্বীকৃতি দিয়ে ঘরে তুলে নেয় নাই। আমি রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করার সময় এলাকার লোকজন মোশারফের ছোট বউ বলে কূটক্তি করত। এ কারণে আমি প্রায় ২ মাস যাবত কলেজে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। তাই আজ বাধ্য হয়ে স্ত্রী’র স্বীকৃতির দাবিতে মোশারফের ঘরে উঠেছি। ঘটনা জানাজানি হলে মোশারফ হোসেন কৌশলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
অভিযুক্ত মোশারফের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। ছাত্রীর বাবা মাসুদ মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমার মেয়ে এখনও নাবালিকা। মোশারফ আমার মেয়েকে ফুঁসলিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তার বাড়িতে নিয়ে গেছে। খবর পেয়ে মেয়েকে বাড়ি থেকে আনতে গেলে মোশারফের পরিবারের আমাদের উপর হামলা করে তাড়িয়ে দেয়।
এ ব্যাপারে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রুহুল আমিন তালুকদার বলেন, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।