প্রহসনের তফসিল দেশকে আরও গভীর সংকটে ফেলবে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
নুরুল হক নুর বলেন, রাজনৈতিক সমঝোতা ছাড়াই সরকারের পরামর্শে নির্বাচন কমিশন প্রহসনের তফসিল ঘোষণা করেছে। এ তফসিল দেশকে আরও গভীর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটে ফেলবে। এর দায় সরকার ও নির্বাচন কমিশনকেই নিতে হবে।
তিনি বলেন, সরকারের অনুগত মেরুদণ্ডহীন নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একইসঙ্গে গণ-আন্দোলন গড়ে তুলে এই প্রহসনের তফসিল ও দলকানা নির্বাচন কমিশনকে প্রত্যাখ্যান ও প্রতিহত করতে হবে।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, বিরোধী শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে জেলে বন্দি ও রাজনীতির মাঠ অসমতল রেখে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রত্যাশা নির্বাচন কমিশনের তামাশা ছাড়া আর কিছু নয়।
নুর বলেন, আগামীতে আবারও দলীয় সরকারের অধীনে ১৪ ও ১৮ মার্কা একতরফা নির্বাচনের ছক তৈরি করা হয়েছে। জনগণকে তার ভোটের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় রাজপথে নেমে সর্বাত্মক লড়াই ও সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।
এর আগে, এদিন সন্ধ্যায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
জাতির উদ্দেশে ভাষণে তিনি বলেন, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর এবং নির্বাচনী প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির ৫ তারিখ পর্যন্ত চলবে।